হিন্দি সিনেমার প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। বলিউডে ধরম পাজি নামে পরিচিত এই অভিনেতা। দুর্দান্ত অভিনয় এবং শক্তিশালী চরিত্র দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে কোনও কসরত রাখেননি। আজও তিনি মানুষের হৃদয়ে রাজত্ব করছেন। ষাটের দশকের সবচেয়ে সুদর্শন অভিনেতা ধর্মেন্দ্র এখনও অনেক সুপারহিট ছবি উপহার দিচ্ছেন। প্রায়শই পরিবার এবং তাঁর বন্ধুদের পুরনো ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
বাবাকে স্মরণ করেছেন ধর্মেন্দ্র
স্মৃতির সরণী বয়ে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন ধর্মেন্দ্র। বড় ছেলে সানি দেওল এবং প্রয়াত বাবা কেওয়াল কিশান সিং সঙ্গে অভিনেতার এই ছবি। মধ্যরাতে পোস্টটি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ধর্মেন্দ্র একটি পীচ রঙের টি-শার্ট পরে আছেন। সানির পরনে গেঞ্জি এবং কেওয়াল কিশান সিং পরে রয়েছেন সাদা রঙের শার্ট।
আরও পড়ুন: আলিয়া-রণবীর, Jr NTR থেকে করণ-হৃতিক, হাজির এক পার্টিতে, তারকাদের সাজে রইল কোন চমক
আরও পড়ুন: আজ আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস, নাচলে কী কী উপকার পাওয়া যায়, দিনটির ইতিহাস কী জানেন
অনুতপ্ত ধর্মেন্দ্র
ছবিটি শেয়ার করে ধর্মেন্দ্র ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ইচ্ছে! বাবা-মাকে যদি আরও সময় দিতে পারতাম!’ মধ্যরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা। তাঁর এই আবেগঘন পোস্টে নেটিজেনরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে এই ছবি।
আরও পড়ুন: ‘সিতারে জমিন পর’ নিয়ে পর্দায় ফিরছেন আমির, পরের মাসে শ্যুটিং শুরু দিল্লিতে, কী বলছে রিপোর্ট
ধর্মেন্দ্রর বাবা কে ছিলেন
হিন্দি সিনেমার হি-ম্যান ধর্মেন্দ্রের বাবা কেওয়াল কিশান সিং পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার একটি গ্রামে থাকতেন। তিনি ওই গ্রামের সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি সতবন্ত কৌরকে বিয়ে করেছিলেন। ধর্মেন্দ্রের শৈশব সাহনেওয়ালে একটি পাঞ্জাবি জাট পরিবারে কেটেছে। ১৯৬৬ সালের ছবি 'ফুল অর পাথ্থার'-এর পর, ধর্মেন্দ্র দর্শকদের মধ্যে রোম্যান্টিক হিরোর ইমেজকে অ্যাকশন হিরোতে পরিবর্তন করেন।
ধর্মেন্দ্রর কাজ
৮৮তেও চিরতরুণ ধর্মেন্দ্র। এত বয়স হয়েছে দেখে কে বলবে? আজও একই রকম এনার্জিতে অভিনয় করে চলেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। কিছুদিন আগে করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে রণবীরের ঠাকুর্দার চরিত্রে দেখা মিলেছিল ওঁর। সেখানে শাবানা আজমিকে চুম্বনের দৃশ্য আলোচনার কেন্দ্রে আসে। যা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। অভিনেতা আজকাল বেশ সক্রিয় থাকেন সামাজিক মাধ্যমে।
নতুন বছরে মুক্তি পেল শাহিদ-কৃতির নতুন ছবি ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যাইসা উলঝা জিয়া’। সেখানেও দেখা মেলে ধর্মেন্দ্রর। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা, হাম ভি তেরে’ ছবির সঙ্গে হিন্দি ছবির সফর শুরু করেন। সেই থেকেই শুধু ধর্মেন্দ্র নামেই পরিচিত। পরে ধর্ম বদলে হেমা মালিনীকে বিয়ে করলেও নাম বদলাননি। ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যাইসা উলঝা জিয়া’য় শাহিদের ঠাকুর্দার চরিত্রে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র।