যেখানে সন্ধ্যা হয় সেখানেই…তবে এক্ষেত্রে বাঘ কিংবা ভূতের ভয় নয়। এখানে রয়েছে হাতির ভয়। একে তো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে টেনশনে থাকেন পরীক্ষার্থীরা। তবে জঙ্গল এলাকা দিয়ে যে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হয় তাদের বাড়তি টেনশন, হাতিদের নিয়ে। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই দেখা যায় এই চিত্র। তবে শুধু যে পড়ুয়ারা টেনশনে এমনটা নয়। টেনশনে, উদ্বেগে রয়েছেন বনদফতরের কর্তারা। কার্যত তাদের কাছে এটা অগ্নিপরীক্ষা। কারণ পরীক্ষার্থী যদি হাতির মুখে পড়ে যায় তবে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। সেকারণেই জঙ্গলের পথে এবার রাখা হয়েছিল বাড়তি সতর্করা।
পরীক্ষার্থীরা যখন স্কুলে যাচ্ছে, আর যখন পরীক্ষা দিয়ে তারা বাড়ি ফিরছেন এই দুটি সময়তেই তারা যাতে হাতির মুখে না পড়েন সেটা নিশ্চিত করাটা বনদফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
শুক্রবার থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকাতেই এই হাতিকে ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বনদফতর। কারণ যখন তখন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়তে পারে ওরা। আর একবার বেরিয়ে পড়লেই বিরাট বিপদ। কারণ কোনও পরীক্ষার্থী যদি হাতির মুখে পড়ে যায় তবে বিরাট বিপদ হয়ে যেতে পারে।
সূত্রের খবর, শুক্রবারই ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া এলাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রের পেছনের জঙ্গলে হাতির দল ছিল বলে খবর। তবে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে বনদফতর। এদিকে ঝাড়গ্রাম থেকে গোয়ালতোড়ে ঢুকেছিল সাতটি হাতির দল। বাঁকুড়া থেকেও গড়বেতায় প্রবেশ করেছিল আটটি হাতি। এদিকে হাতিরা যে একজায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে এমনটা তো নয়। কখন যে কোথায় হানা দেয় সেটাই প্রশ্নের।
সেকারণে হাতির হাত থেকে পরীক্ষার্থীদের রক্ষা করতে সবরকম উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর। হাতিরা যাতে লোকালয়ে চলে আসতে না পারে সেকারণে বিশেষ টিম ছিল। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন বন দফতরের কর্মীরা। একাধিক গাড়ি টহল দিচ্ছে হাতিদের রুখতে। জঙ্গলের রাস্তা এড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত করার জন্য় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।