রামনবমীর দিন রাজ্যের ২০টি জায়গায় অস্ত্র মিছিল করবে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। কোথায় কোথায় এই মিছিল হবে তা সংগঠনটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে এই মিছিলকে কেন্দ্র পরিস্থিতি উতপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২৯ ও ৩০ মার্চ ধর্নায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে কলকাতার রাজপথে পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
কোন জায়গায় মিছিল হবে তা স্পষ্ট করে না বললেও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র পারিজাত চক্রবর্তী আনন্দবাজারকে বলেছেন, '২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যে সব জায়গায় রামনবমীর মিছিলের পরম্পরা রয়েছে, সেই জায়গাতেই মিছিল হবে। আমরা সেই সব জায়গাতে মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
প্রসঙ্গত, ২০১৮-তে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রামনবমীতে মিছিল হতেই পারে, তবে কোনও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নয়। কোনও রকম 'দৌরাত্ম্য' চলবে না।
'দৌরাত্ম্য' হবে না বলেই দাবি করছেন পারিজাত। তবে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হবে। অস্ত্র মিছিলেরই প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির। যে যে জায়গায় অস্ত্র মিছিল হবে সেগুলি ঐতিহ্যশালী কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে সে সব এলাকায় পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় থাকছে। পারিজাত জানিয়েছেন, ৫০০টি জায়গায় রামনবমীর দিন মিছিল হবে। এর মধ্যে ২০ টি জায়গায় অস্ত্র নিয়ে মিছিল হবে। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ রামনবমীর দিন মিছিল করার জন্য পথে নামবেন। যে সব জায়গায় অস্ত্র নিয়ে মিছিল হবে না, সেখানে বাইক বা শোভাযাত্রা সহকারে মিছিল হবে।
(পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি কি দলের 'সম্পত্তি'? জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে উঠছে প্রশ্ন)
কুড়িটি জায়গার মধ্যে থাকছে, হুগলি জেলার চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, বীরভূমের সিউড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর, উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার মতো এলাকা।
প্রশ্ন হল এই কর্মসূচিতে কি বিজেপির নেতা কর্মীরা অংশ নেবেন? দলের পক্ষ থেকে রামনবমীতে কোনও কর্মসূচি না নেওয়া হলেও দলের কর্মী ও নেতারা এই মিছিলে অংশ নেবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই মিছিলের উদ্যোগকে কটাক্ষ করে বলেছেন,'আমরা ভগবানকে পুজো করি। আরও ওরা ভোটের জন্য পথে নামায়'