বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘‌নেতাজিকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে কেন্দ্র’‌, প্রতিবাদ হিন্দু মহাসভার

‘‌নেতাজিকে নিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে কেন্দ্র’‌, প্রতিবাদ হিন্দু মহাসভার

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। (ছবি সৌজন্য, আর্কাইভ হিন্দুস্তান টাইমস)

নেতাজির ট্যাবলো বাতিল করা–সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় ঘোষ গোস্বামী।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজ ১২৫তম জন্মজয়ন্তী। কেন্দ্রীয় সরকারকে ইতিমধ্যেই এই দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসে বাংলার নেতাজি ট্যাবলো রাজধানীর রাজপথে অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল হিন্দু মহাসভা। নেতাজির ট্যাবলো বাতিল করা–সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় ঘোষ গোস্বামী।

এদিন বারাকপুর নীলগঞ্জের সাহেববাগানে নেতাজি এবং আইএনএ’‌র বীর শহিদ সৈনিকদের স্মরণে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা যজ্ঞানুষ্ঠান করে। সেখানেই নেতাজি সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তোলে হিন্দু মহাসভা। অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কার্যকরী রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, ‘‌এই সাহেববাগানে হাজার হাজার আইএনএ বন্দি সৈনিকদের ১৯৪৫ সালে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সেই শহিদদের অবিলম্বে সম্মান জানাতে হবে। সাহেববাগানকে হেরিটেজ ঘোষণা করে শহিদ তীর্থ করতে হবে। আইএনএ বীর শহিদদের হত্যাকারী মেননের পরিবার আজও সরকারের পক্ষ থেকে পেনশন পাচ্ছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে।’‌

নেতাজি ট্যাবলো নিয়ে কী বক্তব্য হিন্দু মহাসভার?‌ এই বিষয়ে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার কার্যকরী রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‌সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল প্রত্যেকটি রাজ্যকে বাধ্যতামূলকভাবে নেতাজির কিছু বিষয় নিয়ে উপস্থাপনা করার কথা বলা। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ট্যাবলো নিচ্ছেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি। অতীতের এবং বর্তমান সরকার একইভাবে ভোটপ্রচারের মাধ্যম হিসাবে নেতাজিকে ব্যবহার করছে।’‌

উল্লেখ্য, এই নেতাজি ট্যাবলো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই নিয়ে টুইট করেছিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। তিনিও অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপরও বাংলার নেতাজি ট্যাবলোর অনুমতি মেলেনি।

বন্ধ করুন