অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। মানকুন্ডু স্পোর্টিং ক্লাবের পিচ প্রস্তুতকারকের মৃত্যু হল। মৃতের নাম অর্পণ পাত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৬ বছর। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওই যুবক সাধারণত পিচ কিউরেটর হিসাবে কাজ করতেন। মানুকুন্ডুর মিলন নগরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পিচ দেখাশোনা কীভাবে করতে হয় তা নিয়ে তিনি সিএবি থেকে প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। সেই যুবকের মৃত্যু হল মাঠেই ।
ওই মাঠে জেলাস্তরে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। পিচ দেখাশোনার কাজ করতেন অর্পণ। ক্রিকেট অন্ত প্রাণ ছিল। মাঠেই পড়ে থাকতেন সময় পেলেই। এদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছিল মাঠে। সেই মাঠের জল পাম্প দিয়ে বের করার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। সেই সময় কোনওভাবে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে তার শরীরের স্পর্শ হয়ে গিয়েছিল। তারপরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। এদিকে সেই সময় মাঠে অপর একজনও ছিলেন তিনি। ক্লাবের অন্যান্য সদস্যদের খবর দেন। সকলেই ছুটে আসেন। এরপর অর্পণকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
অর্পণের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে মৃতের পরিবারের তরফে ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছে। ক্লাবের সামনে দেহ আনার পরে মৃতদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।তবে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড়। তাঁদের দাবি অর্পণের মৃত্যুর দায় ক্লাবকেই নিতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মাসিক ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন অর্পন। তাকে দিয়ে ইলেকট্রিকের কাজও করানো হত বলে অভিযোগ। কিন্তু অর্পণ ইলেকট্রিকের কাজের কিছু জানতেন না। তাকে একরকম চাপ দিয়ে এসব কাজ করানো হত। এদিকে ওই দিন বৃষ্টির জলের মধ্য়েই বিদ্যুতের তার পড়েছিল। সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। এমনকী অর্পণের কোনও বিমা করানো ছিল না বলে দাবি স্থানীয়দের। সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি উঠতে শুরু করেছে এলাকায়। তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরিবারকে দু লাখ টাকা দেওয়া হবে। অর্পণের বাবা মাকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে ক্লাবের তরফে।