গবাদী পশুর উপদ্রব থেকে আমনের বীজতলা বাঁচাতে বিদ্যুতের তার দিকে ঘিরেছিলেন কৃষক। সেই তারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল কৃষকের স্ত্রীর। ঘটনা ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল থানা এলাকার গড়ধরা গ্রামের। নিহত গৃহবধূর নাম সুপ্রিয়া রানা। শস্যলক্ষ্মীকে বাঁচাতে গিয়ে গৃহলক্ষ্মীকে হারিয়ে বিহ্বল ওই কৃষক নবকুমার রানা।
জানা গিয়েছে, গড়ধরা গ্রামে ডুলুং নদীর পাড়ে বীজতলা বানিয়েছেন কৃষক নবকুমার রানা। রাত বাড়লেই সেখানে কচি চারা খেতে হানা দেয় ষাঁড়। তাই বীজতলা বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলেন তিনি। বীজতলায় যে রাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া থাকে সেব্যাপারে স্থানীয়দের জানিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার সকালে বীজতলা পর্যবেক্ষণে যান নবকুমারবাবুর স্ত্রী সুপ্রিয়া দেবী। তখনও বিচ্ছিন্ন করা হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। খোলা বিদ্যুতের তারে পাড়া দেন সুপ্রিয়াদেবী। তড়িদাহত হয়ে পড়ে যান মাটিতে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন স্থানীয়রা। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে সুপ্রিয়াদেবীর।
অচেতন অবস্থায় সুপ্রিয়া রানাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
বেআইনি ভাবে ক্ষেতে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ায় নবকুমারবাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে সাঁকরাইল থানা। সঙ্গে সুপ্রিয়াদেবীর মৃত্যুতে দায়ের হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা।