শীতে কাবু গোটা রাজ্যবাসী। কয়েকদিন ধরে চলছে শৈতপ্রবাহ। এমন অবস্থায় মোবাইল গেমই যেন কাল হল। আগুন পোহাতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পুড়ে গেলেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়াবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎ কলোনিতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই গৃহবধূ। অন্যদিকে, ফ্রী ফায়ার গেমের আইডি হ্যাকিং নিয়ে বিবাদের জেরে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠল বন্ধুদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়।
আরও পড়ুন: সিগারেটের ফুলকি থেকে ভয়াবহ আগুন লেকটাউনে, মৃত্যু হল ব্যক্তির, অসুস্থ বৃদ্ধা মা
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর নাম শিখারায় বর্মন। তিনি বেশিরভাগ সময়ই মোবাইলে গেম খেলায় মগ্ন থাকতেন। আগুন পোহানোর সময় তিনি মোবাইলে গেম খেলছিলেন। তখনই তার কাপড়ে আগুন লেগে যায়। দ্রুত আগুন সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। তখন চিৎকার করতে শুরু করেন গৃহবধূ। দ্রুত তাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তার স্বামী শ্যামল রায় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তখন কোনওভাবে আগুন নিভিয়ে তড়িঘড়ি তাকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন ওই গৃহবধূ। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধুর হাত এবং কোমরের নিচ থেকে সম্পূর্ণ অংশ পুড়ে গিয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ওই গৃহবধূ কেমন থাকবেন তা ৭২ ঘণ্টা পর বোঝা যাবে।
অন্যদিকে, ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি হ্যাকিং নিয়ে বিবাদের জেরে যুবককে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তার চার নাবালক বন্ধুকে অটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ৭ দিন নিখোঁজ ছিল নাবালক। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার নিশিন্দ্রা নৌকা ঘাটের পাশে ফিডার ক্যানেলের ধারে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবকের নাম পাপাই দাস। বয়স ১৮ বছর। বাড়ি ফরাক্কার ব্যারেজ আবাসনে। দেহ উদ্ধারের পর ফরাক্কা অবাসনের যুবকের মাকে ডেকে পাঠানো হলে মৃতদেহ চিহ্নিত করা হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।