বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে চেপে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়িতে যাচ্ছেন? অথবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়ায় আসছেন? তাহলে আরও সময় নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। কারণ হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি শাখায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে (ঘণ্টায়) ট্রেন চালানোর পরীক্ষায় সফল হল ভারতীয় রেল। যে অংশে এতদিন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানো যেত না। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ায় হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাতায়াতের সময় আরও কমবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে আপাতত ভারতীয় রেলের তরফে সরকারিভাবে সে বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে কবে থেকে আরও সময় গন্তব্যে পৌঁছাবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অন্যান্য ট্রেনের যাত্রার সময়ও কমানো হবে কিনা, সেই বিষয়টাও জানায়নি ভারতীয় রেল।
এমনিতে আপাতত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাতে সাত ঘণ্টা ৩০ মিনিট লাগে। ভোর পাঁচটা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়ে। আর দুপুর একটা ২৫ মিনিটে পৌঁছে যায় নিউ জলপাইগুড়িতে। আর ফিরতি পথে দুপুর তিনটেয় নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়ে। আর হাওড়ায় পৌঁছায় রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে। আর সেই সময়টা ভবিষ্যতে আরও কমবে বলে গোড়াতেই জানিয়ে দিয়েছিল রেল (উদ্বোধনের সময়)। কারণ রেলট্র্যাকের পরিকাঠামোগত কারণে তখন মালদা-নিউ জলপাইগুড়ি শাখায় ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে ছুটতে পারত না বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বা অন্য কোনও ট্রেন।
এবার রেললাইনের পরিকাঠামো আরও ভালো করে মালদা-নিউ জলপাইগুড়ি শাখায় ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন ছুটিয়েছে ভারতীয় রেল। সোশ্যল মিডিয়ায় সেই ট্রায়াল রানের ভিডিয়ো পোস্ট করে রেলের তরফে লেখা হয়েছে, ‘গতি, দুরন্ত পারফরম্যান্স, দক্ষতা। ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের তড়িৎ গতিতে নিউ জলপাইগুড়ি-মালদা শাখায় সাফল্যের সঙ্গে ট্রায়াল রান সম্পন্ন করা হল।’
তবে বন্দে ভারতের রেক দিয়ে ট্রায়াল রান হয়নি। বরং লিঙ্ক-হফম্যান বুশ (এলএইচবি) কোচ দিয়েই সেই ট্রায়াল রান করা হয়েছে। কয়েকটি এমন কোচও ছিল, যেগুলি শতাব্দী এক্সপ্রেসে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ শুধু বন্দে ভারত নয়; সরাইঘাট এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, শতাব্দী এক্সপ্রেস, পদাতিক এক্সপ্রেসের আরও একাধিক ট্রেনের যাত্রার সময় আরও কমিয়ে আনার সুযোগ আছে ভারতীয় রেলের সামনে।