Malda: মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে টাকার পাহাড়! ১ কোটি পেরিয়ে গেল, পাকড়াও করল সিআইডি

সূত্রের খবর মালদহের সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের চোরাকারবার চলে। ওপরে অন্যান্য ব্যবসার কথা বলা হয়। কিন্তু ভেতরে চলে চোরাকারবার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একজন মাছ ব্যবসায়ীর কাছে এত বিপুল টাকা আসে কীভাবে?

 মালদার মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে বিপুল টাকা(ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)

প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিআইডি। এরপর গ্রেফতার করা হল মালদার গাজোলের বাসিন্দা জয়প্রকাশ সাহাকে গ্রেফতার করল। সূত্রের খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বাসিন্দাকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। তাকে জেরা করেই জয়প্রকাশের খোঁজ পায় সিআইডি। এরপরই রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় টাকা গোনার কাজ। মেশিন আনা হয় টাকা গুনতে।

শেষ  পর্যন্ত দেখা যায় উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৩৯ লক্ষ তিন হাজার। এই টাকার সঙ্গে মাদক কারবারের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ সাহাকে জেরা করবে সিআইডি।

অনিস সরকার, এসএস সিআইডি জানিয়েছেন, এই টাকাটা ফেন্সিডিল বিক্রি করে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। তারপরই তল্লাশি চালানো হয়। পুরোটাই তদন্ত সাপেক্ষ। আমাদের কাছে আরও তথ্য আছে। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এদিকে সূত্রের খবর মালদহের সীমান্ত এলাকায় মাদক ও অস্ত্রের চোরাকারবার চলে। ওপরে অন্যান্য ব্যবসার কথা বলা হয়। কিন্তু ভেতরে চলে চোরাকারবার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একজন মাছ ব্যবসায়ীর কাছে এত বিপুল টাকা আসে কীভাবে? 

সিআইডি সূত্রে খবর, আসলে সবটাই চোরাপথের ইনকাম। ঘুরপথে আসে কোটি কোটি টাকা। সেই টাকাই জমা হয় চোরকারবারীদের হাতে। সিআইডির দাবি, নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ওই ব্যক্তি। সেই সিরাপ বিক্রির টাকাই জমা হয়েছিল ওই ব্যক্তির কাছে। সেটাই খবর পেয়ে যায় সিআইডি।

এদিকে এর আগে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। এবার গাজোলের মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।