সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ–সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতানেত্রীর বিজেপি–তে আসা সময়ের অপেক্ষা। শনিবার এমনই দাবি করেন বিজেপি–র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু রবিবার এই দাবি একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তাঁদের কথায়, এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
বিষ খেয়ে মরে যাব, তবু বিজেপি–তে যাব না— এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি সৌমিত্র খাঁকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘সৌমিত্র খাঁ দিবাস্বপ্ন দেখছে। তৃণমূলের নেতা ছিল সৌমিত্র। বিজেপি–তে গিয়ে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চা হয়েছে। আর আমি বিষ খেয়ে মরব, তবু একটা উগ্র সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি–র ধারেকাছে যাবে না।’
তৃণমূল নেতা ও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘সৌমিত্র খাঁ বাচ্চা ছেলে। আমি যখন রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলাম তখন সৌমিত্র কলেজে ছাত্র পরিষদ করত। ও আমার থেকে অনেক জুনিয়ার। রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ এবং তাঁর উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালী। এবং তৃণমূলকে ভাঙা অত সহজ নয়। আমরা তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এমন আর কেউ কি বিজেপি–তে আসছেন? এর উত্তরে শনিবার সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী দিক থেকে একটি ইতিবাচক সাড়া আমরা লক্ষ্য করতে পারছি। এছাড়া লাইনে রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষরা। তাঁরাও যে কোনও সময়ে দল বদল করতে পারেন। তবে তাঁদের বিজেপি–তে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব।’