বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের আসন ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ বারবার আসন ভাগ নিয়ে আলোচনার জন্য তৃণমূলকে আহ্বান জানালেও তাতে আর রাজি নন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, একলা চলো নীতিতে লোকসভা নির্বাচনে লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট শকিদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি না হয়ে ভালই হয়েছে। কারণ তাতে লাভ হত বিজেপি।
বুধবার কেরলে ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইয়েচুরি বলেন, ‘অধিকাংশ রাজ্য ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। বেশির রাজ্যেই আমরা জোট শরিক হিসাবে প্রার্থী দাঁড় করাতে সক্ষম হব। তবে বাংলা জোটের মধ্যে আসন ভাগ না হয়ে ভালই হয়েছে। ত হলে সরকার বিরোধীতার হাওয়ায় বিজেপিই সুবিধা পেত।’
তৃণমূল এবং কংগ্রেসে মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কথা না শুরু হলেও, লড়তে চাওয়া আসন নিয়ে পারস্পরিক দাবির ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু রাজ্য সিপিএমের বার্তা ছিল, কোনও মতেই তারা তৃণমূল সঙ্গে জোট করে লোভসভা ভোটে রাজ্যে লড়াই করবে না।
পডুন। 'মালদায় ২ লোকসভা আসন দিচ্ছিলাম, কংগ্রেস বলল আরও অনেক চাই, আমি বললাম ১টাও দেব না'
বুধবারই তৃণমূল নেত্রী উত্তরবঙ্গে বলেন, ‘আমি কংগ্রেসকে বললাম, তোমাদের একটাও বিধায়ক নেই। মালদায় তোমাদের দুটো লোকসভা আসন দিচ্ছি। আমরা জিতিয়ে দেব। বলল, না, আমার অনেক চাই। আমি বললাম, না, আমি তোমায় একটাও দেব না। তুমি আগে সিপিআইএমের সঙ্গ ছাড়। সিপিআইএম তোমার নেতা।’
এদিকে বুধবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু পেতে গেলে কিছু দিতেও হবে। এক তরফা ভাবে কিছু হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গান্ধী পরিবার অত্যন্ত সম্মান করে। তিনি ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম কাণ্ডারি। তাঁর ইন্ডিয়া জোটে থাকা প্রয়োজন। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’ এই পরিস্থিতিতে ইয়েচুরির বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
পড়ুন। বিজেপি জমানায় প্রতিদিন কতজন কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য় হন? বিরাট দাবি করলেন রাহুল
অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী না বলা সত্বেও রাজ্যে এখনও আসন ভাগাভাগি করে লড়াই করতে চায় কংগ্রেস। অন্যদিকে আবার রাজ্যে আসন ভাগাভাগি করে লড়াই না হলে জোটের পক্ষে মঙ্গল বলে মনে করেছেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরী। এই পরিস্থিতি রাজ্যে জোটের জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন নজর রাখার বিষয়।