খারাপ আবহাওয়ার জন্য বাগডোগরায় অবতরণই করতে পারল না ইন্ডিগোর উড়ান। বৃহস্পতিবার বেলায় প্রায় ৪৫ মিনিট আকাশে চক্কর কেটে ফিরতে হল কলকাতায়। এজন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরের পুরনো প্রযুক্তির অবতরণ সহায়তা ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন অসামরিক উড়ান বিশেষজ্ঞরা। ওদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, বারবার অবতরণে বাধা ও উড়ান বাতিলের জেরে প্রভাবিত হচ্ছে পর্যটনসহ অন্যান্য ব্যবসা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কথা ছিল ইন্ডিগোর উড়ান 6E 6359-এর। গন্তব্য ছিল বাগডোগরা। ওদিকে তখন বাগডোগরার আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘের ঘনঘটা। প্রায় ৩০ মিনিট দেরিতে সকাল ১০.৪৫ মিনিটে দমদম থেকে ওড়ে বিমানটি। বেলা ১১.০৫ মিনিটে যখন বিমানটি বাগডোগরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করে তখনও আকাশজুড়ো শুধু মেঘ। নীচু মেঘের জন্য প্রায় ৪৫ মিনিট বারবার চেষ্টা করেও বিমানটিকে অবতরণ করাতে পারেননি পাইলট। যার পর তিনি কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বেলা ১১.৫০ মিনিটে বাগডোগরা নামার সিদ্ধান্ত বাতিল করে কলকাতার পথ ধরে উড়ানটি। বেলা ১২.৩৮ মিনিটে দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করে সেটি। দীর্ঘক্ষণ আকাশে ঘন মেঘের মধ্যে উড়ানে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী।
কিন্তু বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই সমস্যা নতুন নয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে নীচু মেঘের জন্য দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে বিমানবন্দরের রানওয়ে। যার জেরে কখনো অন্য বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দিতে হয় বিমানকে। নইলে বাতিল হয় উড়ান।
অসামরিক উড়ান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাগডোগরা বিমানবন্দরে রয়েছে CAT II অবতরণ সহায়তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়লেও সেই প্রযুক্তি উন্নত করার কাজ এখনো শেষ হয়নি। যার ফলে আবহাওয়া সামান্য প্রতিকূল হলেই উড়ানে সমস্যা হচ্ছে। এর জেরে ভুগছেন যাত্রীরা। ভুগছেন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ।