ডাক্তার বিপ্লবেন্দু তালুকদার। বেশ নামডাক রয়েছে তাঁর এলাকায়। ভদ্রেশ্বর সরকারপাড়ায় তিনি থাকেন। কাছেই চন্দননগর-মানকুন্ডু। আর অনেকেই বলেন, ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর-মানকুন্ডুতে যাঁরা ছোটবেলা থেকে থাকেন তাঁদের কাছে জগদ্ধাত্রী যেন আলাদা মাত্রা বয়ে আনে। রক্তের ধমনীতে থাকে মা জগদ্ধাত্রীকে নিয়ে বড় আবেগ। আর সেই আবেগকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা সামলেও নিজে হাতে জগদ্ধাত্রী মূর্তি তৈরি করেন ডাক্তারবাবু। অষ্টমীতে ডাক্তারবাবুর প্রতিমা দেখে গেলেন মন্ত্রী।
আর সেই পুজো দেখতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি জগদ্ধাত্রী প্রতিমার রূপ দেখে মুগ্ধ। মাকে প্রণাম করেন মন্ত্রী। তবে ডাক্তারবাবু আচমকা মূর্তি গড়ছেন এমনটা নয়। সেই ছোট্টবেলা থেকে তাঁর মূর্তি গড়ার প্রতি টান। সেই মাত্র ৭ বছর বয়স থেকে তিনি মূর্তি তৈরি করতেন। আর এখনও তিনি সেই ধারা বজায় রেখেছেন। নিজে হাতে প্রতিমা গড়ার কাজটাও চালিয়ে গিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসক মূর্তি গড়েন। আর তাঁর স্ত্রী গান করেন ভালোই। দুই জনের সঙ্গতে এক অন্য়রকম পরিবেশ তৈরি হয়। মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক ঠাকুর বানিয়ে পুজো করেন। স্বাস্থ্য দফতরের কাজ সামলে এভাবে ঠাকুর গড়ে পুজো করেন চিকিৎসক এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব নয়।
একদিকে চিকিৎসা করার মতো গুরুদায়িত্ব তাঁর উপর। অন্যদিকে প্রতিমা তৈরির কাজে যাতে কোনও বিঘ্ন না হয় সেটার প্রতিও নজর রয়েছে তাঁর। একেবারে খড় বাঁধা থেকে তাঁর সেই কাজ শুরু হয়। এরপর যত দিন যায় প্রতিমা রূপ পায় ডাক্তারবাবুর হাতে। এরপর প্রতিমাতে মাটি দেওয়া, রঙ করা, চক্ষুদান করা সহ ধাপে ধাপে কাজ সব নিজে হাতে করেন তিনি। সেই প্রতিমাকেই পুজো করা হয়।