বিহারে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে এক কিশোরীকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই কিশোরীকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ইতিমধ্যে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। যদি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মহিলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডুয়ার্সের প্রমীলা রায় নামে এক 'অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী' একটি কিশোরীকে বেড়াতে গিয়ে যাওয়ার নাম করে বিহারে নিয়ে যায়। সেখানে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহারের ওই ব্যক্তি তাঁকে দিয়ে নাচ করাত। তার কথা মতো নাচ করতে না চাইলে কিশোরীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হত। কিশোরীকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কিশোরীর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশিরা কিশোরীর খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। শেষপর্যন্ত বিহারের ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন কিশোরীর বাড়ির লোকেরা। পরিস্থিতি হিতে বিপরীত হতে পারে সে কথা আন্দাজ করেই কিশোরীকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয় ওই ব্যক্তি।
এরপরই কিশোরীর কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো বিষয়টি সামনে আসে। পুরো ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হন কিশোরীর পরিবারের লোকেরা। মহিলার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বিন্নাগুড়ি ও বানারহাট থানার পুলিশ। পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ওই কিশোরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।