স্কুলের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল পার্শ্বশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ছাত্রীর পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার করা হয় পার্শ্বশিক্ষককে। এই ঘটনায় কাকদ্বীপের ঢোলাহাট এলাকায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এখনওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোনওভাবেই যাতে ওই নির্যাতিতা এবং পরিবার থানার দ্বারস্থ না হয়, তার জন্য তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে ২১ জুলাই যখন জেলার সব পথ গিয়ে মিশেছিল কলকাতার রাজপথে তখন দুপুরে স্কুল ফাঁকা ছিল। তখনই পার্শ্বশিক্ষক শৌচালয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছে। পরিবারকে ছাত্রীটি জানায়, স্কুলের শৌচালয়ে গিয়েছিল সে। তখনই স্কুলের এক পার্শ্বশিক্ষক তাকে ওখানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে শৌচালয়ের ভিতরেই। এমনকী পুলিশকে জানালে জীবন খোয়াতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীকে দেখতে না পেয়ে সবাই খোঁজখবর শুরু করে। তারপর শৌচালয়ের দরজার বাইরে তালা ঝোলানো দেখে সন্দেহ হয় অন্যান্য পড়ুয়াদের। অন্য শিক্ষক ও পড়ুয়াদের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় নির্যাতিতা ছাত্রীকে।
অন্যদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মেয়েকে তড়িঘড়ি নিয়ে ঢোলাহাট থানায় যান নির্যাতিতার মা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষক ফইজুদ্দিন মোল্লাকে। গ্রেফতার হওয়া ওই পার্শ্বশিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে জেরা করছে পুলিশ। মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর। ছাত্রীটি এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ছাত্রীর বাবার বক্তব্য, ‘আমরা যাতে থানায় না যাই তার জন্য বারবার আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী মিথ্যা বদনাম করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত পার্শ্বশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালত পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি–আইএসএফ, বাদল অধিবেশনের আগে বেনজির দৃশ্য
ঠিক কী বলছেন নির্যাতিতার মা? এই অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে তাকে জিজ্ঞাসা করতেই সব বলে দেয় ছাত্রীটি। শৌচালয়ে বন্ধ করে রাখার কথাতেই সন্দেহ হয় মায়ের। তখনই মেয়েকে সব জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন। নির্যাতিতার মা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমার মেয়ে তখন শৌচালয়ে গিয়েছিল। ওই সময়েই শৌচালয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে পার্শ্বশিক্ষক। আর ওখানে আটকে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ করে। মেয়ের এক বান্ধবী আমাকে খবর দিলে আমি ছুটে যাই। আর আমি স্কুলে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি, কেন তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে আমার মেয়েকে। আমার চিৎকার–চেঁচামিচিতে তখন বাকি শিক্ষকরা বিষয়টা জানতে পারেন। আর উদ্ধার করা হয়। মেয়েকে জিজ্ঞাসা করতেই গোটা ঘটনা সামনে আসে।’