ভোট কাটাকাটিতে যদি বিজেপি জেতে তবে ক্ষমতায় এসেই এআরসি করবে মোদী সরকার। মালদার সুজাপুরের প্রচার সভায় 'শঙ্কার' কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে এই ভোট কাটাকাটিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেবে কংগ্রেস এবং সিপিএম। তাই সভা থেকে থেকে সংখ্যালঘু ভোটারদের ওই দুই দলকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানালেন মমতা।
রবিবার সুজাপুরের সভায় মমতা বলেন,'সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের বলি, এটা দিল্লিতে মোদীর গদি উল্টোনোর নির্বাচন। মোদীর যদি গদি উল্টোতে হয়, তা হলে সব ভোট এককাট্টা করে রাখবেন। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে তার কারণ বিজেপির দুটো চোখের একটা কংগ্রেস, একটা সিপিএম। তাই মুর্শিদাবাদে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন সেলিম। এখানে একজন, রায়গঞ্জে একজন দাঁড়িয়েছেন। যদি ভোট কাটাকাটির জন্য বিজেপি জিতে যায় ক্ষতি কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনাদেরই, এটা মনে রাখবেন।'
মালদার দুটি লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই মূলত ত্রিমুখী। রাজ্যে শাসকদলের লড়াই বিজেপি ও কংগ্রেস-সিপিএম জোট প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এই জেলায় সংখ্যালঘু ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই ভোট বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী এবং তৃণমূলের মধ্যে ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, তাই এনআরসি প্রসঙ্গ টেনে এনে সংখ্যালঘু ভোট যাতে শুধু তৃণমূলে পড়ে তা নিশ্চিত কতে চাইছেন নেত্রী।
আরও পড়ুন। কেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল? নাম না করে ব্যাখ্যা দিলেন মমতা
সংখ্যালঘু ভোটারদের উদ্দেশে তৃণমূল নেত্রীর বলেন, 'আপনারা যদি একটু ভুল করে ভোট কাটাকাটি করে দেন, বিজেপি যদি ক্ষমতায় এসে যায়, এ বার গায়ের জোরে এনআরসি করে আপনাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। আমরা থাকতে এটা করতে দেবো না।'
মমতার বাম-কংগ্রেসকে বিজেপির চোখ বলার জবাবে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, '২০১৯ সালেও তৃণমূল বলেছিল, অধীর চৌধুরী ভোটের পরে বিজেপিতে যাবে। আমাদের মুসলিমদের শত্রু বলে প্রচার করা হয়েছিল। ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেওয়া হয়েছিল। তবুও মানুষ কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ী করেছিলেন।'
আরও পড়ুন। ‘দেব এখন ভাল রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছে’, পিংলার মঞ্চ থেকে দরাজ সার্টিফিকেট মমতার
তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যের জবাবে সেলিম বলেন,'মালদা-মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ তৃণমূলের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। তাই বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন মমতা।'
আরও পড়ুন। ‘বড় ভুলটা আমি করেছিলাম, বদলা নয়, বদল চাই বলে’, আক্রমণ চরমে তুললেন মমতা