বাকি আর হাতে গোনা কটা দিন। তার পরই জবাব দিতে হবে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। তিনি তৃণমূলের সাংসদ, না বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, স্পষ্ট করতে হবে শিশির অধিকারীকে। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে চিন্তা করবেন লোকসভার অধ্যক্ষ। কিন্তু এখনই এই নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন কাঁথির সাংসদ। আরও কিছুটা সময় দেখে নিতে চান তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অমিত শাহের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল শিশির অধিকারীকে। ৮০ পার করা সাংসদ শিশিরবাবু বাড়ি থেকেও খুব বেশি বেরোন না। কিন্তু বিধানসভা ভোট মেটার পর থেকেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের আবেদনে সাড়া দিয়ে শিশিরবাবুর তাঁর অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেজন্য ১ মাস সময় চেয়ে নিয়েছেন শিশির অধিকারী। সেই সময়ও শেষের মুখে। কিন্তু এখনো নিজের অবস্থান ঠিক করেননি তিনি।
বুধবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শরীরটা খারাপ। আপাতত বিশ্রাম নিচ্ছি। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। সময় এলে সবটা জানাবো।’
বিজেপির অন্দরে গুঞ্জন, লোকসভার সদস্যপদ ছেড়ে দেবেন শিশির অধিকারী। বদলে তাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রশ্ন হল, তাহলে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা কেন?