হাতে আর পাঁচদিন বাকি। ইতিমধ্যেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। দুর্গাপুজোর আমেজে এখন মাতোয়ারা বাংলা। দুর্গাপুজোর প্ল্যানিং থেকে শুরু করে মণ্ডপ সজ্জার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এমন আবহে আজ, রবিবার মণ্ডপে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই আগুন নিজের থেকে লাগেনি। ইচ্ছা করে মণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির কোন্নগরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এখন দুর্গাপুজোর সমস্ত কাজই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে হুগলি জেলার কোন্নগরের কানাইপুর ছোট বাজার এলাকায় নৈটি রোডের উপর তৈরি হয়েছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। সেই মণ্ডপে আজ, রবিবার আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তবে এই আগুন প্রকাশ্য দিবালোকে ধরানো হয়নি। মাঝরাতে এই আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। রবিবার সকালে তা প্রকাশ্যে আসে। আগুনে মণ্ডপের অনেকটা অংশ পুড়ে যায়। মণ্ডপের সংলগ্ন অনেক বাড়ি এবং বাজার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়লে তা মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেত বলে মনে করছে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে থানা–পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই মণ্ডপে আগুন লাগানোর ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুজো কমিটির সদস্য মধুময় দত্ত জানান, মাঝরাতে খবর মেলে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর পর দু’বার আগুন লাগানো হয়। এমন খবরই আসে। পুলিশ এই খবর পেয়ে নিজেরা গিয়ে আগুন নেভায়। এটা সম্পূর্ণ দুষ্কৃতীদের কাজ। কারণ এই মণ্ডপে বছরের পর বছর দুর্গাপুজো হয় কোনওদিন বৈদ্যুতিন তার থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। তাই গোটা বিষয়টি পুলিশ এবং পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ‘এমন চললে লোকসভায় পাঁচটি সিট পাওয়াও চাপ হবে’, নাম না করে সুকান্তকে বিঁধলেন অনুপম
অন্যদিকে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা আবার করে করতে হবে। তার জেরে বেশ কিছু টাকা খরচ হবে। মণ্ডপে এমন আগুন লাগার ঘটনায় কানাইপুর তৃণমূল জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পার্থ প্রদীপ ঘোষ বলেন, ‘দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দুর্গাপুজোর মণ্ডপে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা খুবই ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ। এই কানাইপুর এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য আছে। যা বাড়ছে। আর তাই এসব ঘটনাও বাড়ছে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত করে দেখা এবং যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কঠিন শাস্তি দেওয়া।’