দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের (ডিএসপি) জমি থেকে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল। জমি থেকে উচ্ছেদ ঘিরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা বাঁধে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের আধিকারিকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে স্থানীয়দের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সিআইএসএফ জওয়ানরা লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে এদিন রাস্তার উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে অবরোধ উঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টে ব্লাস্ট ফার্নেসে গরম লোহার রড পড়ে দুর্ঘটনা, মৃত ১, আহত ৩
দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের তরফে ওই এলাকায় পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করার জন্য এদিন আধিকারিকরা যান। কিন্তু, স্থানীয়রা তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে বচসা বাঁধে আধিকারিক এবং সিআইএসএফের জওয়ানদের। মুহূর্তে এলাকা রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়। তামলা এবং ফরিদপুর এলাকা থেকে সেখানে জড়ো হন কয়েক হাজার বাসিন্দা। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁরা পাঁচিল দেওয়ার কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেই সিআইএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকায়। পরিচিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে সিআইএসএফ। এখানেই শেষ নয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে গন্ধিপুর থেকে মায়াবাজার পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং আগুন লাগিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স।
স্থানীয় এক বাসিন্দারা অভিযোগ, দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি ছিল বস্তি এলাকায় কিছু করলেই তাঁদের আগে জানাতে হবে। এদিন স্টিল প্লান্টের আধিকারিকদের দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাঁদের কাছে কী হচ্ছে জানতে চান। কিন্তু, তার জন্যই সিআইএসএফ জওয়ানরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ। সবমিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য, সেখানে এদিন ভিত পুজো করেন স্টিল প্লান্টের আধিকারিকরা। কিন্তু, কিসের জন্য এই ভিত পুজো তা তাদেরকে আগে থেকে জানানো হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, সেখানে কী করা হচ্ছে? কিসের জন্য ভিত পুজো করা হয়েছে? তা তাদের বিস্তারিত জানাতে হবে। যতক্ষণ না জানাবেন ততক্ষণ তারা পথ অবরোধ চালিয়ে যাবেন। তাঁদের আরও বক্তব্য, বস্তি এলাকায় কিছু করা হবে কিনা শুধু মাত্র এসব জানার জানতে চাওয়ার জন্যই তাদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়েছে। যদিও দুর্গাপুর স্টিল প্লান্টের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।