হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রূপচাঁদ পাল। কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। দীর্ঘদিনের বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। হুগলির বাম রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়। এরপর তাঁকে কলকাতার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে রাজনীতির আঙিনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তিনি পেশায় ছিলেন অধ্যাপক। কর্মজীবনের প্রথম দিকে তিনি মগরার বাগাটি শ্রী গোপাল ব্যানার্জি কলেজে অধ্যাপনা করতেন। পরে তিনি নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। তবে বরাবরই তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মূলত বামেদের তাত্ত্বিক নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপনা ত্যাগ করে তিনি দলের সর্বক্ষণের কর্মী হয়েছিলেন। ১৯৫৮ সালে তিনি অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে প্রথমবার হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হন। সব মিলিয়ে সাতবার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
অত্যন্ত পরিশীলিত কথাবার্তা, সংস্কৃতিবান মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। বামেদের ক্ষমতা যখন একেবারে মধ্যগগনে তখনও তাঁকে উঁচু স্বরে কথা বলতে দেখা যেত না। আরামবাগের সাংসদ অনিল বসুর যখন বিপুল দাপট তখনও একেবারে তাঁর বিপরীত মেরুতে কার্যত অবস্থান করতেন রূপচাঁদ পাল। সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরেও বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুতে শূন্যস্থান তৈরি হল হুগলির বাম রাজনীতিতে।