শ্রেয়সী পাল :
হেলমেটে ঢাকা মাথা। হাতে বাজারের ব্যাগ। তা নিয়েই মদের দোকানের সামনে লাইনে উর্দি পরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মী। ঘটনাটি বহরমপুরের।
আরও পড়ুন : ভুল হয়ে গেছে বিলকুল, দেড় মাস পর করোনার সঠিক তথ্য জানিয়ে স্বীকার করলেন মুখ্যসচিব
তৃতীয় দফার লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকেই মদ বিক্রির অনুমতি মিলেছে। রাজ্যের তরফে কিছুটা একটু দেরিতে নির্দেশিকা আসায় অধিকাংশ জায়গায় মদের দোকান খুলতে দুপুর গড়িয়ে যায়। তা সত্ত্বেও সকাল থেকেই অনেকে মদের দোকানের অপেক্ষা করছিলেন। দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইনও পড়ে যায়। ব্যতিক্রম হয়নি বহরমপুরের হরিদাসমাটিতেও। এলাকার একটি মদের দোকানের সামনের লাইনে অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় ব্যাগ নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন এক উর্দিধারী পুলিশকর্মী। মিনিট দশেক ছিলেন। সেই ঘটনার ভিডিয়োও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ লাইন ভেঙে মদ কেনার চেষ্টা করেন ওই পুলিশকর্মী। ভিডিয়োতেও দেখা গিয়েছে, লম্বা লাইন সত্ত্বেও তিনি মদের দোকানের সামনে আগে ঢুকে গিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনের রক্ষক হয়ে নিজেই সামাজিক বিধি লঙ্ঘন করেছেন ওই পুলিশকর্মী। পরে পরিচয় জানতে চাওয়া হলেও তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে বাইক নিয়ে চলে যান। তবে উর্দি দেখে স্থানীয়দের ধারণা, সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক তিনি।
আরও পড়ুন : লকডাউন শিথিল হলেও এই তথ্য জানলে বাড়ি থেকে বেরনোর আগে ৫ বার ভাববেন আপনি
নাম গোপন রাখার শর্তে ওই দোকানের মালিক বলেন, ‘দেরিতে আবগারি দফতর নির্দেশিকা জারি করার আমি সাড়ে চারটের পর দোকান খুলেছি। কারা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সেটা আমি দেখিনি।
আরও পড়ুন : ফের হান্দওয়ারায় সন্ত্রাস হামলা, নিহত ৩ সিআরপিএফ জওয়ান
বিষয়টি নিয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সবরী রাজকুমার। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনার বিষয়ে জানি না।' তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, 'উর্দি পরে একজন পুলিশকর্মী মদ কেনার দৃশ্য কাম্য নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি দেখেছি আমরা। যদি চিহ্নিত করতে পারি, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত ব্যবস্থা দেওয়া হবে।