চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে ট্রেনের ধাক্কায় ৩টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটু হলেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। ফের ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তবে ট্রেন চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেল হাতি। রেল লাইনের কাছে হাতি দেখতে পেয়েই ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। যার ফলে হাতির প্রাণ বাঁচে।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে ট্রেনের ধাক্কায় ফের তিন হাতির মৃত্যু, চালক কি মদ্যপ ছিলেন? প্রতিবাদ মিছিল চালসায়
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া-কালচিনি স্টেশনের মাঝখানে। রেল লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের চালক দূর থেকে লক্ষ্য করেন একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাতি ঠিক ট্র্যাকের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তা দেখতে পাওয়ার পরেই তৎক্ষণাৎ ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন চালক। এর কিছুক্ষণ পর হাতিটি রেললাইন পেরিয়ে গেলে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। সে ক্ষেত্রে চালক ট্রেন না থামালে আবারও হয়তো টেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারত। প্রসঙ্গত, রাজাভাতখাওয়াতে সোমবার ৩ টি হাতির ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যুর পরেই নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রেল। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ১৫ টি হাটির দল ঘোরাফেরা করছে। সেই কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের গতিবেগ সেখানে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাতিগুলির গতিবিধি নিয়ে বন কর্মী এবং স্টেশনের কর্মীরা ওয়াকিটকির মাধ্যমে গেটম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়াতে ট্রেনের ধাক্কায় শাবক সহ ৩ টি হাতির মৃত্যু হয়। শিলিগুড়িগামী মালগাড়ির ধাক্কায় মারা যায় ৩ টি হাতি। রাজাভাতখাওয়ার শিকারি গেট এলাকাটি পেরিয়ে কালচিনির দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সকাল ৭টা বেজে ২০ মিনিটে একটি বড় হাতি ও দুটি শাবক লাইন পার হচ্ছিল। সেই সময় মৃত্যু হয় ৩ হাতির। অনেক সময় বলা হয় রাতে কুয়াশার মধ্যে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় রেললাইনে হাতি রয়েছে কি না বোঝা যায় না। আলো পড়লে ধাঁধিয়ে যায় হাতির চোখ। কিন্তু দিনের বেলা কেন হাতির অবস্থান বুঝতে পারলেন না চালক? মালগাড়ি কি দ্রুত গতিতে চলছিল? তাই নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই ঘটনায় তদন্ত করছে রেল। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু হয়েছে। তা আটকাতে ব্যবস্থাও নিচ্ছে রেল। তারপরেও এই ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে।