রেলের সঙ্গে বনদফতরের একাধিক বৈঠক। হাতির মৃত্যু ঠেকাতে রেল ও বনদফতরের নানা অভিনব উদ্য়োগ। জঙ্গলে ট্রেনের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশিকা। সব জলে চলে গেল। ফের আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়াতে ট্রেনের ধাক্কায় তিনটি হাতির মৃত্যু। শাবক সহ তিন হাতির মৃত্যু।
শিলিগুড়িগামী মালগাড়ির ধাক্কায় মারা গিয়েছে তিনটি হাতি। রাজাভাতখাওয়ার শিকারি গেট এলাকাটি পেরিয়ে কালচিনির দিকে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সকাল ৭টা বেজে ২০ মিনিটে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিনটি হাতির। একটি বড় হাতি ও দুটি শাবক লাইন পার হচ্ছিল। সেই সময় মৃত্যু তিন হাতির।
অনেক সময় বলা হয় রাতে কুয়াশার মধ্য়ে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় রেললাইনে হাতি রয়েছে কি না বোঝা যায় না। আলো পড়লে ধাঁধিয়ে যায় হাতির চোখ। কিন্তু দিনের বেলা কেন হাতির অবস্থান বুঝতে পারলেন না চালক? মালগাড়ি কি দ্রুত গতিতে চলছিল? এদিকে লাইনের দুদিকে দুটি হাতি ছিটকে পড়েছিল। একটা শাবক হাতি রেললাইনে পড়়েছিল। রেলের আধিকারিকরা গোটা ঘটনাটি চালকের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছেন।
তবে প্রশ্ন উঠছে মালগাড়ির চালক আদৌ কি গাইডলাইন মেনেছিলেন? এর আগে ট্রেন থামিয়ে দিয়ে বহুবার হাতির প্রাণ রক্ষা করেছেন একাধিক ট্রেন চালক। কিন্তু এবার কেন হল না? তবে কি সতর্ক ছিলেন না ট্রেন চালক? শেষ মুহূর্তে এমার্জেন্সি ব্রেক কষার ঝুঁকি নেননি?
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে চালসাতে মিছিল বের করেন পরিবেশপ্রেমীরা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা। রেলকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।
এদিকে সূত্রের খবর, মা হাতিটি বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়ে। প্রশ্ন উঠছে লোকো পাইলট কি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন? কেন তিনি দুর্ঘটনা রুখতে পারলেন না? কেন তিনি মালগাড়ি থামাতে পারলেন না? সবটাই পরীক্ষা করে দেখছে রেল।
এদিকে রেলপথে হাতির মৃত্যু ঠেকাতে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম আনার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ির সেভক থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত এই সিস্টেম লাগু করার ব্য়াপারে কথাবার্তা হয়েছিল। কিন্তু এদিনের ঘটনা ফের প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাল হাতিদের সুরক্ষার ব্যাপারটি।