আবার এক আইপিএস অফিসার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। এমনকী এই লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী পর্যন্ত হতে পারেন তিনি বলে সূত্রের খবর। যদিও তাঁর অবসর নিতে এখনও প্রায় পাঁচ বছর বাকি। এখনই স্বেচ্ছাবসর নিতে চেয়ে আবেদন করেন রাজ্য সরকারের কাছে। সব ঠিক থাকলে এবার বালুরঘাট থেকে প্রার্থী হচ্ছেন পুলিশ কর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা ঘটলে এই আইপিএস অফিসারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এখন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বালুরঘাট রেঞ্জের আইজি পদে কর্মরত আছেন।
এদিকে এই ঘটনা ঘটলে বালুরঘাট নজরকাড়া কেন্দ্র হয়ে উঠবে। বালুরঘাটকে দু’জনই খুব ভালভাবে চেনেন। প্রসূনবাবু চেনেন পুলিশ হিসাবে তাঁকে এই জেলা ঘুরে দেখতে হয়েছে বলে। আর সাংসদ হিসাবে এলাকায় ঘুরেছেন বলে চেনেন সুকান্ত মজুমদার। হাতের তালুর মতো দু’জনেই চেনেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রকে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রসূনবাবু নবান্নে স্বেচ্ছাবসরের আর্জি পাঠিয়েছেন। তাতে শুধু সবুজ সংকেত পড়ার অপেক্ষা। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনে প্রসূনকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ভোট ঘোষণার আগে স্বেচ্ছাবসরের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: বসিরহাট পুলিশ জেলায় একাধিক পদে রদবদল, লোকসভা নির্বাচনের আগে বড় পদক্ষেপ
অন্যদিকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করার উদাহরণ অনেক আছে বাংলায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে চন্দননগরের কমিশনার থাকাকালীন হুমায়ুন কবীর চাকরি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জিতে মন্ত্রীও হন তিনি। সেখানে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থান নতুন কিছু নয়। তবে ২০০৬ সালের এই আইপিএস অফিসারের ২০২৯ সালে অবসর নেওয়ার কথা ছিল। প্রসূনের চাকরি ছাড়ার সময় নিয়ে অনেকে বিস্মিত। প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন চাকরি ছেড়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে বিজেপির ভারতী ঘোষকে পরাজিত করেন।
এছাড়া এই আইপিএস অফিসার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছেন দুই দিনাজপুর সংলগ্ন এলাকায়। দক্ষিণ দিনাজপুরে দু’দফায় পুলিশ সুপার ছিলেন। তাই বালুরঘাট লোকসভা আসনটি এখন চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। সুকান্ত মজুমদার এবারও এখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির। আগেও অনেক আইএএস ও আইপিএস অফিসার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন হায়দর আজিজ সফি, সুলতান সিং, রচপাল সিং, চৌধুরীমোহন জাটুয়া, উপেন বিশ্বাস, মণীশ গুপ্ত। সদ্য জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।