বাইকে করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক ঘটনা। আর দেওয়া হল না জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। এছাড়াও আহত হয়েছে আরও তিন পরীক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৫ জন। ঘটনায় মোট আহতদের সংখ্যা হল ৪ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটিতে। শুক্রবার পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুটি বাইকে। তার জেরে শনিবার কলকাতার হাসপাতালে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম সোহানা পারভীন।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুতেই ২৪৬ জন ছাত্রী অনুপস্থিত, তদন্তে নামল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
জানা গিয়েছে, সোহানা কলিঠা গ্রামের বাসিন্দা। পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়া ৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী একই স্কুলের পড়ুয়া। তারা কলিঠা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। নলহাটির আলাদা আলাদা স্কুলে তাদের সিট পড়েছিল। যার মধ্যে সোহানা এবং তার বান্ধবী শাবনুর সুলতানার সিট পড়েছিল নলহাটি হাইস্কুল ফর গার্লস এবং আহত দুই ছাত্র রাজিব হক এবং নুর কালামের সিট পড়েছিল নলহাটি হরিপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে।
শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর সোহানা তার বাবার সঙ্গে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। সোহানার সঙ্গে ছিল তার বান্ধবী। সেই সময় ওই দুই ছাত্রও পরীক্ষা দিয়ে বাইকে করে ফিরছিল। তখন দ্রুত গতিতে রাজিবদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহানাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘটনায় ৫ জন বাইক থেকে ছিটকে পড়ে।
সোহানাকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তবে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শনিবার ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে সোহানার পরিবারে। তবে কীভাবে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী বাইক নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেল তাই নিয়ে হচ্ছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে জেলার কনভেনার সন্দীপ কুমার মণ্ডল শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে আহত পড়ুয়ারা যদি পরবর্তী পরীক্ষা দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করে বা সক্ষম হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তাদের পরীক্ষার জন্য বোর্ডের তরফে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।