কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের ২১ লক্ষ শ্রমিককে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় চলছে ফর্ম ফিলাপ। এর জন্য সহায়তা শিবির করা হয়েছে। সেই সহায়তা শিবিরে গিয়ে শ্রমিকদের ফর্ম ফিলাপ করে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নদিয়ার চাপড়া ব্লকে বেশ কয়েকটি সহায়তা শিবিরে গিয়ে তিনি ফর্ম ফিলাপ করে দেন।
আরও পড়ুন: 'আমাকে দলে নিতে চাইবে বিজেপি', বিস্ফোরক প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
এদিন চাপড়া ব্লকে মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শুকদেব ব্রহ্ম এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এদিন চাপড়া ব্লকের বেশ কয়েকটি সহায়তা শিবিরে যান মহুয়া মৈত্র। সেখানে চাপড়া ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, মহৎপুর, হাতিশালা ১ নম্বর ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতের শিবিরে গিয়ে তিনি ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও মহুয়া মৈত্রের ফর্ম ফিলাপ করে দেওয়ার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। এটা তাদের লড়াই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের লড়াইয়ে শামিল হয়ে সেখানে এলাকার প্রাক্তন সাংসদ গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগে টাকা বন্ধ রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা চেয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করেছেন। কিন্তু তাসত্ত্বেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটের আগে ২১ লক্ষ শ্রমিককে বকেয়া টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কেন্দ্র সরকার ভাবছে বাংলাকে ভাতে মারবো। ২১ লক্ষ দিনমজুর যারা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাদের বকেয়া দেবে রাজ্য সরকার।’ তবে শুধু চাপড়া ব্লকই নয় অন্যান্য জেলাতেও শিবির করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। উত্তর ২৪ পরগনার বিলকান্দা ১ এবং ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে সহায়তা কেন্দ্র করা হয়েছে। এখানে সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কৃষি মন্ত্রী ছাড়াও সেখানে ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব।