রাস্তার হাল খারাপ। তাই আসতে চায় না অ্যাম্বুলান্স, এমনকী ই-রিক্স। অগত্যা কাঁধে খাটিয়া ঝুলিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল কই? ২ বছরের সন্তানকে রেখে চলে গেলেন ১৯ বছরের মা। ঘটনা মালদার বামনগোলা থানা এলাকার গোবিন্দপুর এলাকার মালডাঙা গ্রামের।
বছর কয়েক আগে মালাডাঙা গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মামণির। দম্পতির ২ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ১৯ বছরের বধূ। শুক্রবার তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতােল নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলান্সে ফোন করেন কার্তিকবাবু। কিন্তু অ্যাম্বুলান্স চালক জানিয়ে দেন, ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তার ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে তাঁর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। এর পর স্থানীয় টোটো চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁরাও টোটো নিয়ে অতটা মাটির রাস্তা দিয়ে ই-রিক্স নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান। এর পর খাটিয়ার চার দিকে দড়ি বেঁধে বাঁশে ঝুলিয়ে ২ দিকে ২ জন ব্যক্তি পালকির মতো করে মামনি রায়কে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। সেই ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেন বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বীণা কীর্তনীয়া। প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বধূকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, এই রাস্তাটি পাকা করার দাবিতে গ্রামবাসীরা বহুবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পথ অবরোধ করেছে। কিন্তু প্রশাসনের কানে জল ঢোকেনি। রাজ্য জুড়ে পথশ্রী প্রকল্পের হতশ্রী অবস্থা দেখিয়ে দিল এই মৃত্যু। বিডিও এসে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরও রাস্তা হয়নি।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে চিকিৎসা করাতে কোনও পয়সা লাগে না। তার পরও কী করে বধূর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।