মেদিনীপুরে জনসভা করলেন। অথচ একবারও মুখে আনলেন না শুভেন্দু অধিকারীদের নাম। বরং সেই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু-বিরোধী হিসেবে পরিচিত অখিল গিরির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস। জানালেন, তৃণমূলের উত্থানের জন্য কীভাবে 'লড়াই' করেছিলেন রামনগরের বিধায়ক।
সোমবার মেদিনীপুরে প্রায় ৪০ মিনিটের ভাষণে একবারের জন্য সরাসরি শুভেন্দু বা অধিকারী পরিবারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেননি মমতা। মুখে দুইবার শুধু ‘অধিকারী’ এনেছিলেন - বিজেপিকে আক্রমণের বিরুদ্ধে ভেদাভেদের রাজনীতির অভিযোগ তোলার সময়। তাছাড়া বাকি সময় সচেতনভাবে অধিকারীদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন।
বরং সভার শুরুতে তৃণমূলের হয়ে ‘লড়াইয়ের’ জন্য ছত্রধর মাহাতোর প্রশংসাও করেন মমতা। সেই মঞ্চে বসেছিলেন ছত্রধর। তাঁকে দাঁড় করিয়েই মমতা দাবি করেন, মাওবাদী তকমা দিয়ে ছত্রধরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার আগেও ছত্রধর তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। পরে কীভাবে লড়াই করে তৃণমূল গড়ে উঠেছে, তা বলতে গিয়ে মমতার গলা থেকে রামনগরের বিধায়কের প্রশংসা ঝরে পড়ে। মমতা বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আমরা যখন তৈরি করেছিলাম, আমার মনে আছে অখিল গিরি প্রথমবার লড়াই করেছিল, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির ওই আসন থেকে, আমার মনে আছে, সেদিন আমরা হয়তো জিততে পারিনি। কিন্তু আমরা দ্বিতীয় হয়ে গিয়েছিলাম। মাত্র ২২ দিনের জায়গায়। সুতরাং এটা মনে রাখবেন, তৃণমূল কংগ্রেস অত দুর্বল নয়।’
সরাসরি না হলেও ঘুরিয়ে অবশ্য শুভেন্দুকে বার্তা দিতে ভোলেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। অখিলের প্রশংসার রেশ ধরেই বলেন, ‘যদি কেউ মন করে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেলিং করব, বার্গেনিং করব। তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব, তাহলে সেই বিজেপি এবং বিজেপি দলের যারা বন্ধু, তাদের কাছে পরিষ্কার করে বলে দেব, আগুন নিয়ে খেলবার চেষ্টা করবেন না। আর যাকে পারেন জব্দ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না। তার কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে, তৃণমূল কংগ্রেস জন্মলগ্ন থেকে লড়াই করে বেঁচে আছে।’