বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ভাঙড়ে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের, আইএসএফ ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ অনেক কর্মীর

ভাঙড়ে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের, আইএসএফ ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ অনেক কর্মীর

তৃণমূলে যোগ দিলেন আইএসএফ এবং জমি কমিটির কর্মীরা।  (HT_PRINT)

শনিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেখানে সভা করা হয়। সেই সভায় শওকত এবং আরাবুল ছাড়াও ছিলেন হাকিমুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, ওদুত মোল্লা প্রমুখ তৃণমূল নেতা। এখন এই জায়গায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মসূচি করছে বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।

পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে শক্তি বৃদ্ধি করল তৃণমূল কংগ্রেস। ভাঙড়ের দলীয় পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং দলের নেতা আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিলেন একাধিক আইএসএফ এবং জমি কমিটির কর্মীরা। সাধারণত ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হল আইএসএফ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই দল থেকে কর্মীরা যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের সংগঠন আরও মজবুত হলে মনে করছেন দলের নেতারা। যদিও এটা ‘তৃণমূলের নাটক’ বলেই কটাক্ষ করেছেন ভাঙ্গরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

সাধারণত এতদিন জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির প্রভাবে পাওয়ার গ্রিড এলাকায় শাসক দল কোনও কর্মসূচি করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করলেও জমি কমিটির বাধায় পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে পারেননি তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান এবং সদস্যরা। তবে শনিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেখানে সভা করা হয়। সেই সভায় শওকত এবং আরাবুল ছাড়াও ছিলেন হাকিমুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, ওদুত মোল্লা প্রমুখ তৃণমূল নেতা। এখন এই জায়গায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস কর্মসূচি করছে বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।

যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠান থেকে শওকত মোল্লা বলেন, ‘আইএসএফ বা জমি কমিটির নেতৃত্বে এলাকায় কোনও উন্নয়ন হবে না, শান্তিও ফিরবে না। মানুষ তা এখন বুঝতে পেরেছে। সেই কারণে মানুষ আমাদের দিকে ফিরছেন।’ এখন সারা ভাঙড় জুড়ে এই যোগদান কর্মসূচি চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল, পাওয়ায় গ্রিডের নামে কোটি কোটি টাকা তছনছ করা হয়েছে। মানুষ সবই বুঝতে পারছেন। তারা সকলেই চলে আসবেন।’

যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে চাননি জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে আমাদের দল থেকে বেশ কয়েকজনকে এক বছর আগে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে তারা তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন। মানুষকে ভুল বোঝাতে তাদের আবার তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে।’ যদিও এর ফলে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন আইএসএফ নেতৃত্ব। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ বলেন, ‘দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার জন্য তিনি এসব নাটক করছেন। যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাদের ভয় দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন