নদিয়ার তৃণমূল নেতা মোতিরুল ইসলাম খুনে FIR-এ নাম থাকা ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল মুর্শিদাবাদ পুলিশ। ওই ঘটনায় এই প্রথম FIR-এ নাম থাকা কাউকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে কলকাতায় অভিযান চালিয়ে খালেক কবিরাজ ও পিঙ্কু মণ্ডলকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা। এই নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০।
মোতিরুল ইসলাম খুনে নদিয়ারই ১০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী রিনা বিবি। যদিও এতদিন তাদের কাউকে গ্রেফতার করেননি তদন্তকারীরা। উলটে মোতিরুলের দেহরক্ষী সাগর ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের FIR-এর উপর নির্ভর করে এতদিন তদন্ত চালাচ্ছিল তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিনা বিবির দায়ের করা অভিযোগপত্রে প্রথম নাম ছিল খালেক কবিরাজ ওরফে রাজকুমারের। দ্বিতীয় পিঙ্কু মণ্ডল ওরফে শুভর। করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রাবেয়া বিবির স্বামী এই পিঙ্কু।
পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ইটভাটা নিয়ে রাজকুমারের সঙ্গে মোতিরুলের বিবাদ চলছিল। নদিয়ার থানারপাড়া থানার বাসিন্দা রাজকুমার ও পিঙ্কু। রাজকুমার মাটি কারবারি বলে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে আগেও খুনসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকী বাংলাদেশের সুপারি কিলারদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ওদিকে পিঙ্কু এলাকায় তৃণমূল নেতা পরিচিত। এলাকায় বেশ দাপট রয়েছে তার। রাজকুমারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতাও বেশ সুবিদিত। পুলিশের দাবি, মোতিরুলকে খুনে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজকুমার ও পিঙ্কুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইটভাটা নিয়ে বিবাদের জেরে রাজকুমার মোতরুলকে খুনের চক্রান্ত করে। ঘনিষ্ঠতার সুবাদে গোটা পরিকল্পনা জানত পিঙ্কু।
রিনা বিবি বলেন, ‘আমি প্রথম থেকেই বলেছিলাম রাজকুমার, পিঙ্কু এই খুনে যুক্ত। তাদের গ্রেফতারির দাবিতে আমি আদালতের দ্বারস্থ হতেই পুলিশের গ্রেফতার করার কথা মনে পড়েছে? তবে পুলিশের পদক্ষেপে আমি খুশি।’
গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নদিয়া মুর্শিদাবাস সীমানায় খুন হন তৃণমূল নেতা মোতিরুল ইসলাম। মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকে একের পর এক গুলি করে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোতিরুলের।