সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত ছবি পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই পোস্ট ‘বিভ্রান্তিকর’ জানিয়ে পাল্টা টুইট করা হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে।
সমস্যার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অর্জুন সিংয়ের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দেওয়ার কিছু ছবি দিয়ে একটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা, ‘দিদির জিহাদি প্রকৃতির রাজনীতি এখন হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেখুন মুর্শিদাবাদে কীভাবে মন্দিরের ওপর হামলা চালিয়ে কালীপ্রতিমা পুড়িয়ে দিয়েছে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজন।’
‘বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়’ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দিদি’ নামে উল্লেখ করে এই টুইটকে ঘিরে ইতিমধ্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। যা চোখে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের। তারা তাদের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের টুইটের ছবি পোস্ট করে আবেদন জানিয়েছে, ‘এই পোস্ট বা দাবি বিভ্রান্তিকর। এর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভ্রান্তিকর এবং উস্কানিমূলক এই পোস্ট এড়িয়ে চলুন।’
এরইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের নওদার ‘আলামপুর কালী মা নিমতলা কালীমন্দির’–এর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। তাতে মন্দির সম্পাদক শুকদেব বাজপেয়ীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ অগস্ট রাতে কে বা কারা ওই মন্দিরের কালীপ্রতিমায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। এটা একটা দুর্ঘটনাও হতে পারে। এর পরই তাঁর আবেদন, ‘এই এলাকায় হিন্দু–মুসলমান সম্পর্ক খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেবেন না। পরিবেশ অশান্ত করবেন না এবং উত্তেজনামূলক কোনও কাজ করবেন না।’
যদিও তাঁর করা উত্তেজনামূলক পোস্টের ব্যাপারে এখনও কিছু প্রতিক্রিয়া দেননি সাংসদ অর্জুন সিং।