সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কি পর্যটকদের জন্য খোলা হবে পাহাড়? করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টেগুলি কি খুলবে? সব ঠিক থাকলে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো আজ, সোমবার দুপুরেই মিলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং–এর হোটেল, হোমস্টে মালিক ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠক করছেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা এবং জিটিএ আধিকারিকরা। আজই বেরোতে পারে সমাধান সূত্র।
এ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয় রবিবার দুপুরে। সেখানে ব্যবসায়ীরা জিটিএ আধিকারিকদের কাছে কিছু প্রস্তাব রাখে। প্রথমত করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে সচেতনতা বাড়াতে বিপুল প্রচারের আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনকে। বলা হয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিকে পাহাড়ে ঢোকার মুখে প্রত্যেক পর্যটকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হেল্থ ক্যাম্প করা যেতে পারে।
প্রশাসনের কাছে হোটেল, হোমস্টে মালিক ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের আরও আবেদন, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি সুষ্ঠুভাবে মানা হচ্ছে কিনা দেখতে প্রতিটি হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে–তে নিয়মিত নজরদারি চালানোর জন্য কর্মী নিয়োগ করতে হবে। হোটেলের ভেতর বা বাইরে গাড়ি রাখার জায়গা এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলি রোজ স্যানিটাইজ করানোরও আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনকে।
পাহাড়ে ফের স্বাভাবিক পর্যটনের সূচনা এই সকল আবেদন বা প্রস্তাবে প্রশাসনের সম্মতির ওপরই নির্ভর করছে। জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার দ্বিতীয় দফার বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাহাড়ে ফের হোটেল, হোমস্টে, রিসর্ট চালু হয়ে যেতে পারে। তবে পাহাড় তার দরজা খুললেও বর্তমান পরিস্থিতিতে কবে পর্যটকদের দল সেখানে পা রাখবে, তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে।