রাতের অন্ধকারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মা ও শিশুর। বুধবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ছেড়ুয়া গ্রামে এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ মৃত গৃহবধূর মায়ের বাড়ির সদস্যরা। তারা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের না করলেও চাইছেন পুরো ঘটনা তদন্ত করুক পুলিশ। মৃত গৃহবধূর নাম রোকসানা মন্ডল এবং তার দু বছরের পুত্র সন্তানের নাম আব্দুল মন্ডল।
সাধারণত মেদিনীপুর সদর ব্লকে অবস্থিত এই গ্রামে অবৈধভাবে শব্দবাজি, আতশবাজি তৈরির কারখানায় ভর্তি। রোকসানার শ্বশুরবাড়িতেও বাজি কারখানা ছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন রোকসানার স্বামী কাশীরুদ্দিন মণ্ডল। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, আচমকাই বাড়িতে আগুন লেগে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী এবং পুত্র সন্তানকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে বুধবার রাতেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় তার পুত্র সন্তানের।
যদিও এই আগুন লাগার ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না করছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে মারধর করতো কশীরুদ্দিন। এর আগেও তাকে বহুবার মারধর করেছে। ফলে তাকে খুনের আশঙ্কা করছেন রোকসানার পরিবারের সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও অভিযোগ তারা দায়ের করেননি। এদিকে আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। যে বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে সেই বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। রোকসানার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়ি সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সেইসঙ্গে মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে।