মুকুল রায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁর এই প্রত্যাবর্তনে রাজ্য বিজেপিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এখন বহু নেতাই বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়টি নিয়ে সুখেন্দুশেখর রায়ের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘এবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিজেপি’। এখন বীরভূমের দুই প্রাক্তন বিধায়ক মনিরুল ইসলাম এবং গদাধর হাজরা তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের হাত তাঁরা ফিরতে পারেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অনেকের দমবন্ধ হয়ে এসেছিল। বিজেপিকে সেফ হোম ভেবে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন সেখানেও তাঁদের অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। তাই মুকুলের প্রত্যাবর্তনে অক্সিজেনের মাত্রা ওঠা–নামা করা সেই অংশ এখন আশায় বুক বাঁধছে ফেরার জন্য। বীরভূমে মুকুল অনুগামীরা এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মনিরুল ইসলাম, তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল, গদাধর হাজরা এবং বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়–সহ একাধিক বিজেপি নেতারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে সরাসরি দিল্লি অফিসে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মনিরুল ইসলাম, তাঁর ছেলে আসিফ ইকবাল এবং গদাধর হাজরা। সেখানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন মনিরুল এবং গদাধর। অসিফ ইকবালকে যদিও রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। এঁরা বিজেপিতে মুকুল–অনুগামী হিসাবে পরিচিত। তাই তিনি চলে যাওয়াতে এনাদের ভবিষ্যৎ বিজেপিতে কঠিন হয়ে পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। তাই যেমন ছিলাম তেমনে আসতে চাইছে তাঁরা বলে সূত্রের খবর।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে নানুর বিধানসভায় গদাধর হাজরা, লাভপুর বিধানসভায় মনিরুল ইসলাম তাঁর ছেলে আসিফ ইকবালের জন্য টিকিট চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু টিকিট পাননি তাঁরা। তখন মনিরুল ইসলাম নির্দল প্রার্থী হিসাবে লাভপুর কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবার মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরামাত্রই তাঁরাও ফের দলবদলের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এই বিষয়ে গদাধর হাজরা বলেন, ‘মুকুল রায় ফিরেছেন এটা ভাল খবর। আমার নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হাত ধরেই ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাই।’ আসিফ ইকবাল বলেন, ‘মুকুল রায়কে শুভেচ্ছা। বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের কি অবস্থা সেটা পরিস্কার। তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতেই পারি।’