মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্যার মা। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার দক্তপুকুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। নিহত বেবিরানি সরদার ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান তৃণমূলি সদস্য দেবযানী সরদারের মা। ঘটনার সময় দিদার পাশেই শুয়ে ছিল ১১ বছরের নাতনি। তবে তাঁর গায়ে হাতও দেয়নি খুনিরা।
নিহতের ছোট মেয়ে মন্দিরা সরদার জানিয়েছেন, তাঁর মা শারীরিকভাবে অসুস্থ। দিন কয়েক আগে দিদির বাড়ি গিয়ে থাকছিলেন তিনি। রবিবার রাতে ১১ বছরের নাতনির সঙ্গে শুয়েছিলেন। ভোর রাত ৪টে নাগাদ ওপরের দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢোকে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাদের মুখে ছিল মাস্ক। ঘরে ঢুকে প্রথমে বেবিরানি সরদারকে গলা টিপে খুন করে তারা। এর পর ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মুখ থেঁতলে দেয়। পাশে শুয়ে থাকা ১১ বছরের নাতনি কিছু একটা ঘটছে বুঝে চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করে ছিল। তাই তার গায়ে আর হাত দেয়নি দুষ্কৃতীরা।
খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তারা। মেয়ে জানিয়েছেন, এমন নৃশংসভাবে মেরেছে যে মায়ের মুখ চেনা যাচ্ছে না।
পরিবারের অনুমান রাজনৈতিক শত্রুতা থেকে দেবযানী খুনের উদ্দেশে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু মেয়ের পাশে বৃদ্ধাকে তার মা ভেবে খুন করেছে তারা। ঘটনার পর থেকে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে নাবালিকা। কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইছে না সে। কী কারণে বৃদ্ধা খুন হলেন জানতে তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।