দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট। দ্বিতীয় দফায় এই তিনকেন্দ্রে ভোট হয়েছে। কিন্তু এই তিন কেন্দ্রে ভোট কেমন পড়ল? শনিবার নির্বাচন কমিশন যে তথ্য় দিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে যে ২০১৯ সালে এই তিন কেন্দ্রে যত ভোট পড়েছিল তার তুলনায় ৫ শতাংশ ভোট কম পড়েছে এবার।
বালুরঘাট ও রায়গঞ্জ। এবার ভোটের দিন একেবারে কাঠফাটা রোদ ছিল। তবে সেই গরমকে উপেক্ষা করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বহু মানুষ। তবে গত বারের তুলনায় এবার ভোটদানের হার কিছুটা কম হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে এই তিন কেন্দ্রে ভোটদানের গড় হার ছিল ৮০.৯ শতাংশ। এবার বাংলার এই তিনকেন্দ্রে ভোটদানের গড় হার হয়েছে ৭৫.৫৯ শতাংশ। অর্থাৎ ঝপ করে কমে গিয়েছে ভোটদানের হার। সেক্ষেত্রে কেন এই ভোটদানের হার কমল তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে।
এবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭১.৮৯ শতাংশ। ২০১৯সালে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৭৯.৩৩ শতাংশ। বালুরঘাট কেন্দ্রে এবার ভোট পড়েছে ৭৯.০৯ শতাংশ। তবে গত ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ভোটদানে হার ছিল ৮৩.১৩ শতাংশ।
রায়গঞ্জে এবার ভোট পড়েছে ৭৬.১৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ভোটদানের হার ছিল ৭৯.৮৮ শতাংশ।
এদিকে প্রথম দফাতেও দেখা গিয়েছিল ভোটদানের হার প্রায় আড়াই শতাংশ কমে গিয়েছে। এবার দ্বিতীয় দফাতেও দেখা গেল গতবারের তুলনায় ভোটদানের হার ঝপ করে প্রায় ৫ শতাংশ নেমে গেল।
একে তো গরম। তার উপর আর কী কারণে ভোটদানের হার কমছে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে। তবে এবার যে বিরাট গন্ডগোল হয়েছে তেমনটা নয়। বলা যায় বেশ নির্বিঘ্নেই ভোট হয়েছে এবার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ভোট হয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল ও বিজেপি দুপক্ষই দাবি করেছে তারাই সব আসনগুলিতে জয়ী হবে। বিজেপি ও তৃণমূলও একই দাবি করছে। সেক্ষেত্রে বাস্তবে কী হবে সেটা জানার জন্য় আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
তবে সকলেই যাতে ভোটদান করেন সেব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে এবার কী কারণে ভোটদানের হার কিছুটা কমল সেটা নিয়ে চর্চাও চলছে। তবে অনেকের মতে, এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই ভোট দেওয়ার জন্য় আর আসেননি। ইদের ছুটি কাটিয়েই তাদের অনেকেই চলে যান কর্মস্থলে। তার জেরেও রায়গঞ্জ, বালুরঘাটে কমতে পারে ভোটের হার।