ভর সন্ধ্যায় ওষুধের দোকান থেকে সবে বেরিয়েছিলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। বাসিন্দাদের দাবি, অটো থেকে নেমেছিল দুই দুষ্কৃতী। এরপরই তারা মাথায় গুলি চালায়। গুলি করেই তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের মধ্যে অত্য়ন্ত জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ভর সন্ধ্যায় তাঁর খুন হওয়ার ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন ঘটনার কথা চাউড় হতেই দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। আগরপাড়ায় রাস্তা অবরোধও করা হয়।
কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে কেন এভাবে খুন করা হল অনুপম দত্তকে? কারা রয়েছে এর পেছনে? বিরোধীরাই এর মধ্যেই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন অনুপম। ঘটনার কথা জানতে পেরেই বেলঘড়িয়ার বেসরকারি নার্সিংহোমে চলে আসেন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। ভেঙে পড়েছেন তিনিও। খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমাদের বড় লস হয়ে গেল। অত্য়ন্ত দক্ষ সংগঠক। আমি এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এব্য়াপারে আগেই কিছু বলা ঠিক নয়। তবে বিজেপির একজন বড় মাথাকে হারিয়েছিল। পুলিশ দেখুক। বিজেপির যারা নেতা ছিল তাদের হারিয়েছিল।’ আর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে বিজেপির তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিজেপির মতো অত নীচুতে নেমে রাজনীতি আমি করি না।’