বেসরকারি হাসপাতালের গাফিলতিতে এক শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগে সরব হল পরিবার। ঘটনা মুর্শিদাবাদের জগদা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেনাউড়ি গ্রামের। নিহত শ্রমিকের নাম অর্জুন মণ্ডল (৪৮)। মৃতের স্ত্রীর দাবি, বেসরকারি হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর অর্জুনবাবুর দেহ বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা। সেখানে বেঁচে ওঠেন তিনি। এক গ্লাস দুধ খান। তার পর ফের মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার বৈদ্যুতিন ড্রিল মেশিন দিয়ে রাস্তার পাশে একটি নর্দমা ভাঙার কাজ করছিলেন অর্জুনবাবু। মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল হুক করে। সেই তার জলে পড়ে কোনও ভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর অর্জুনবাবুর দেহ বাড়িতে নিয়ে যান পরিজনরা।
অর্জুনবাবুর স্ত্রীর দাবি, বাড়ি যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অর্জুনবাবুর দেহে প্রাণের সংকেত দেখতে পাওয়া যায়। এর পর চোখ মেলে তাকান তিনি। দুধ খেতে চান। সঙ্গে সঙ্গে দুধ গরম করে এনে দিই। এক গ্লাস দুধ খান উনি। তার পর আবার নিস্তেজ হয়ে পড়েন।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে ঠিক মতো পরীক্ষা না করেই অর্জুনবাবুকে মৃত ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। তাদের গাফিলতিতেই ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই শ্রমিক তড়িদাহত হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পর তাঁর দেহ বাড়ি নিয়ে যান পরিজনরা। তার পর কী হয়েছে জানি না। এই ঘটনায় এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।