উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেও মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তি হতে পারছেন না সাঁওতালি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীরা। উপাচার্য না থাকার কারণে বন্ধ রয়েছে ভর্তি। এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে তাঁদের অভিভাবক এবং আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাঁরা শীঘ্রই স্নাতকস্তরে ভর্তি শুরু করার দাবি জানিয়েছেন, না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত আড়াই মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। ফলে স্নাতকস্তরে প্রথম বর্ষে সাঁওতালি মাধ্যমের ভর্তির অনলাইন পোর্টল খোলাই যায়নি। যার জেরে ভর্তি হতে পারেননি ছাত্রছাত্রীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা আশাবাদী খুব শীঘ্র নতুন উপাচার্য আসবেন। শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।
(পড়তে পারেন। ‘সমাজের একটা অংশ ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার দিকে ঝুঁকছে’, বিধানসভায় স্বীকার ব্রাত্যের)
(পড়তে পারেন। 'আমি যখন পড়াশোনা করতাম...', ব়্যাগিং নিয়ে কী অভিজ্ঞতা মমতার নিজের?)
২০২১ সালে প্রথমবার অলচিকি হরফে সাঁওতালি মাধ্যমে ৪৫ জন পড়ুয়া উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে। কিন্তু পাশ করলেও ভর্তির কলেজে ভর্তির সুযোগ ছিল না। ভর্তি হতে না পেরে আন্দোলনে নামে পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অলচিকি হরফে সাঁওতালি মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি নেওয়া হয়। গত বারও সেখানে ছাত্র ভর্তি হয়। কিন্তু এবার উপচার্য না থাকায় বন্ধ হয়ে রয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া। বিপাকে পড়েছেন পড়ুয়ারা।
ভর্তি না হতে পেরে পড়ুয়াদের আক্ষেপ, তাদের হয়তো পড়াশুনাই ছেড়ে গিতে হবে।