গুপ্তধন খুঁজে দেওয়ার নাম করে যুবকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। ঘটনা নদিয়ার বীরনগরের জয়পুরের। অমর চক্রবর্তীর নামে আহত ওই ব্যক্তির দেহে ৬০টি সেলাই পড়েছে। অভিযুক্ত তান্ত্রিক নারায়ণ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বছর চল্লিশের অমরবাবুর দাবি, তাঁর বাড়ির নীচে গুপ্তধন রয়েছে বলে জানান তান্ত্রিক নারায়ণ সরকার। সেই গুপ্তধন খুঁজে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয় সে। সঙ্গে নেয় ৩টে পাঁঠা ও নানা আনুসাঙ্গিক সামগ্রী।
গত ২৩ নভেম্বর গুপ্তধন খুঁজে দেওয়ার নামে গভীর রাতে অমরবাবুকে নির্জন একটি এলাকায় পুকুরের ধারে নিয়ে যায় তান্ত্রিক নারায়ণ। সেখানে অমরবাবুকে জলে নেমে ডুব দিয়ে আসতে বলে। শীতের রাতে তিনি পুকুরে নামতেই পিছন থেকে তাঁকে কোপাতে শুরু করে নারায়ণ। কোনও ক্রমে জল থেকে উঠে পালিয়ে যান অমরবাবু। এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনার কথা জানিয়ে তাহেরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অমরবাবু। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অমরবাবুর হাতে ও পিঠে গুরুতর আঘাত লেগেছে। মোট ৬০টি সেলাই পড়েছে তাঁর।