স্বস্তির বৃষ্টিতে মারাত্মক গরম থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। অস্বস্তিকর গরমের পরিবর্তে রাতটা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, কলকাতার সর্বনিম্ন একলপ্তে প্রায় আট ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গিয়েছে। অন্যান্য জেলায় পারদ পতন হয়েছে। কিন্তু সেই স্বস্তির মধ্যেই ঝড় এবং বজ্রপাতের জেরে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকজন। সেইসঙ্গে বৃষ্টির ফলে কলকাতার অনেক রাস্তায় জলও জমে যায়। 'ট্র্যাডিশন' মেনে ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো রাস্তায় জমে যায় জল। মরশুমের প্রথম বৃষ্টিতেই জল জমে যায় মহাত্মা গান্ধী রোড-সহ উত্তর কলকাতার একাংশে। তবে রাতেই জল নেমে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুরনিগমের মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং।
বৃষ্টির জেরে কলকাতার পারদ পতন এবং ঝড়
সোমবার বৃষ্টির জেরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একধাক্কায় আট ডিগ্রির মতো পড়ে গিয়েছে। সোমবার রাতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হল ২৯.৮ ডিগ্রি। আর আজ সকালে হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে যে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৭ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.১ ডিগ্রি কম। সবমিলিয়ে শেষ ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭০.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার একটা সময় দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৭৭ কিলোমিটারে পৌঁছে গিয়েছিল।
দক্ষিণবঙ্গে ৬ জনের মৃত্যু
স্বস্তির বৃষ্টির মধ্যে ঝড় এবং বজ্রপাতে দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায় সোমবার কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা ডাঙলসা গ্রামের পিন্টু সামন্তের। ঝড়-বৃষ্টি কিছুটা কমে যাওয়ার পরে রাতে আম কুড়িয়ে আনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।একই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। ঝড়-বৃষ্টির সময় পুকুরঘাটে থাকা পোষ্যকে আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে কামাল গ্রামের মাঝিপাড়ার এক মহিলা।
পুরুলিয়ায় একই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। স্নান করতে যাওয়ার পথে বজ্রপাত শুরু হওয়ায় আড়শার নামোপাড়ায় একটি গাছের তলায় আশ্রয় নেন তিন পড়ুয়া এবং এক ট্র্যাক্টর চালক। বজ্রপাতে এক পড়ুয়া এবং ট্র্যাক্টর চালকের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, নদিয়ার নাকাশিপাড়ার মোটা বড়গাছিতে ইটভাঁটার অস্থায়ী ছাউনির দেওয়ার ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্বামী এবং স্ত্রী'র। তাঁরা আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আহত হয়েছে তাঁদের মেয়ে।