যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই একাধিক নেতা মন্ত্রী মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, র্যাগিংয়ের জন্য মেধাবী পড়ুয়াদের উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। কারা এই উস্কানি দিচ্ছে? তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: যাদবপুর ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দায়িত্ব পেতে পারেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা
আজ বৃহস্পতিবার নওশাদ সিদ্দিকি মৃত ছাত্রের মামার বাড়িতে যান। সেখানে তার পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুবিচারের আর্জি জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। নওশাদের বক্তব্য, র্যাগিংয়ের ঘটনার ফলে প্রাণ গিয়েছে ছাত্রের। যারা র্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত তারাও মেধাবী ছাত্র। ফলে কেউ না কেউ তাদের র্যাগিংয়ের জন্য উস্কানি দিচ্ছে। কারা সেই কাজ করছে তা নিয়ে তদন্ত প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেছেন। ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার জন্য তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ যদি আগে থেকেই সক্রিয় থাকত তাহলে এই দিন দেখতে হত না। এখন কর্তৃপক্ষ সক্রিয়তা দেখাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘একজন পড়ুয়া স্বপ্ন নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও তারা কীভাবে এরকম অপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে? শিক্ষামন্ত্রীকে দায়িত্ব নিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন। তাদের মাথায় কারা এই ধরনের কথা ঢুকিয়ে দিচ্ছে সে বিষয়টি জানা দরকার।’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার রাতে হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যায় ওই ছাত্র। নগ্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে র্যাগিংয়ের তথ্য সামনে আসে তদন্তকারীদের কাছে। প্রথমে এই ঘটনায় এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ধাপে ধাপে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করে। যার মধ্যে ৪ জন প্রাক্তনী এবং ৫ জন বর্তমান পড়ুয়া। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার ইতিমধ্যেই শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে শোকজ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। তাছাড়া মানবাধিকার কমিশনাও রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি ইউজিসি।