উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চা বাগান। সব মিলিয়ে অনুমোদিত বড় চা বাগানের সংখ্যা ২৭৬টি। এর বাইরেও রয়েছে অসংখ্য ক্ষুদ্র চা বাগান। চা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু এবার খামখেয়ালি আবহাওয়ার জেরে বড় সংকটে পড়েছে উত্তরের চা শিল্প। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মাসে আগে আচমকাই অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। জুন মাসের সেই অতিবৃষ্টিতে চা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এর সঙ্গেই নদী ভাঙনের জেরেও চা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই সময় বাগানে সিঁদুরকুলো, লালবিছে, রুপার সহ নানা ধরনের পোকার উপদ্রব বাড়তে থাকে।
তবে জুলাই মাসে আবার অন্য ছবি। ঠাঠা রোদ্দুর উত্তরবঙ্গে। বর্ষাকালে উত্তরবঙ্গে এমন তীব্র দাবদাহ খুব কমই দেখা যায়। আর তার জেরে মাথায় হাত চা বাগানের সঙ্গে যুক্তদের। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে বাগানের জলস্তর নামতে শুরু করেছে। এর জেরে পাম্পেও পর্যাপ্ত জল উঠছে না। প্রচন্ড রোদে চা বাগানের পাতা ঝলসে যাচ্ছে। পাতার রং ক্রমেই লাল হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এবার আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে ফাস্ট ফ্লাশ চা মার খেয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডুয়ার্সের অন্তত ২১ শতাংশ ও তরাইতে ২০ শতাংশ চায়ের উৎপাদন মার খাচ্ছে বলে খবর। এর জেরে সামগ্রিকভাবে চায়ের বিপণন ও আমদানি, রফতানির বাজারে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।