করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প। মুখ থুবড়ে পড়েছে শৈলশহরের পর্যটন শিল্প। বিপাকে পড়েছেন কয়েক লক্ষ পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানার মতো ভ্রমণের আকর্ষণীয় জায়গাগুলো। সেকারণে গরমে স্কুলের ছুটি পড়লেও দেখা নেই শিশু কিংবা পর্যটকদের। তাই দার্জিলিংয়ের শৈলশহর থেকে শুরু করে মিরিক, তরাই ডুয়ার্সের জঙ্গল পর্যন্ত পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে, পাহাড় কিংবা ডুয়ার্সে হোটেল, রিসর্ট, হোম-স্টে যাঁরা লিজে নিয়েছিলেন, তাঁদের মাথায় হাত পড়েছে। এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, কর্মী ছাঁটাই করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না-তাঁরা। সেকারণে, বেড়েই চলেছে কর্মহীনদের সংখ্যা। কী ভাবে তাঁরা ফের আয়ের পথ খুঁজে পাবেন, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।
এত কিছুর মধ্যেও সুস্থ থাকতে চাইছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। সেজন্য টিকাকরণের অগ্রাধিকারের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এই দাবি নিয়ে এবার রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও তাঁর দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে ই-মেল মারফত নিজেদের দাবি পাঠিয়েছেন হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্র্যাভেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সদস্যরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাঁদের টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরী।
তাঁদের দাবি, হোটেল, হোম স্টে, রিসর্টের কর্মী থেকে কুলিদেরও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাকরণের কর্মসূচির আওতায় আনা হোক। এক এক করে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের টিকার দু’টো ডোজ দেওয়া হলে, অনেকটাই স্বস্তি মিলবে উত্তরবঙ্গের অর্থনীতির অন্যতম হাতিয়ার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের।