পুজায় কোথায় যাবেন বুঝতে পারছেন না? দার্জিলিং কিন্তু এবার ধীরে ঠাসা হতে পারে। তবে দার্জিলিং এর যে সমস্ত অফবিট জায়গাগুলি রয়েছে সেখানেও পর্যটকদের সমাগম কিছু কম হবে না। সে কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই বুকিং করতে না পারলে আপনার মনের মতো জায়গা ফসকে যেতে পেতে পারে এবারও। সেক্ষেত্রে এখন থেকেই সেই অফবিট ডেস্টিনেশন।
কালিম্পংয়ের পাবং তেমনই এক অফবিট পর্যটন স্থান। ছবির মত সুন্দর গ্রাম। হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা।
এনজেপি থেকে বাগরাকোট- চুইখিম হয়ে যেতে পারেন পাবং। এতে সময় কিছুটা কম লাগে। দূরত্বও কিছুটা কমে যায়। এনজেপি থেকে সেক্ষেত্রে দূরত্ব পড়ে ৭০ কিলোমিটার। কিন্তু বেশিরভাগ সময় চুইখিমের রাস্তা কিছুটা খারাপ থাকে। বর্ষায় সেই রাস্তা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি কালিম্পং হয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে দূরত্ব হতে পারে মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার।এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি চলে আসতে পারেন পাবং। একাধিক হোমস্টে আছে। আগে থেকে বুক করে চলে আসুন।
আপনারা অনেকে চারখোলের নাম শুনেছেন। চারখোলে বেড়াতেও যান অনেকে। কিন্তু অনেক সময় চারখোলে ঘর মেলে না। কারণ সেখানে ইদানিং পর্যটকদের আনাগোনা একটু বেশি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি পাবং চলে আসুন । পাবং থেকে চারখোল মাত্র তিন কিলোমিটার। গাড়ি নিয়ে বেলাবেলি বেরিয়ে আবার চলে আসতে পারবেন।
এই জায়গাটা মেঘ আর পাখির রাজ্য বলে পরিচিত। হোমস্টের বারান্দা থেকে দেখুন মেঘের খেলা। কখন যে মেঘ এসে মুছে দেবে মনের ভেতর জমে থাকা মন খারাপ, সেটা বুঝতেই পারবেন না। আবার ভোর থেকে শুনুন পাখির গান। কত নাম না জানা পাখি। ছবি তোলার শখ থাকলে পাবং এর মতো ভালো জায়গা আর হয় না। একাধিক ঝর্ণাও আছে। সেখানেও দু'দণ্ড কাটিয়ে আসতে পারেনি। সব মিলিয়ে পাহাড় বলতে যা যা ভাবেন সবটা পাবেন একসঙ্গে। আর বাড়তি পাওনা বলতে ওই যে পাখি আর মেঘ। একদম ভরপুর প্যাকেজ।