পুজোয় ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। একটু নির্জনে ঘুরতে চাইছেন অনেকেই। আসলে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে আর অপার শান্তি পেতে মন একেবারে মুখিয়ে থাকে। দার্জিলিংয়ের অফবিট জায়গার খোঁজ করছেন অনেকেই। এবার আপনার বেড়ানোর তালিকায় রাখতে পারেন কোলাখাম। পাহাড়ের নির্জনতায় এক অপূর্ব গ্রাম। মনের শান্তি প্রাণের আরাম। পাহাড় বলতে যা কিছু চান, সবটা আছে এখানে। ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা, চঞ্চল ঝর্ণা, সবুজে ঢাকা পাহাড়, নানা পাখির ডাক, কুয়াশা আর মেঘের লুকোচুরি, আর অপার সৌন্দর্যতা সবটা আছে এখানে।
ঘুরে আসন কোলাখাম। কালিম্পং পাহাড়ের এই গ্রামকে অপূর্ব বলল কম বলা হয়।। লাভা তো অনেকেই গেছেন। এবার কোলাখাম। অনেকেই বলেন পাহাড়ে যাবেন আর কোলাখাম না গেলে জীবনে বড় মিস করবেন। আর কোলাখাম যখন যাবেন তার প্রধান আকর্ষণ হল ছাঙ্গে জলপ্রপাত। সেটা দেখতে কিন্তু একেবারেই ভুলবেন না।
লাভা থেকে কোলাখাম ১০ কিলোমিটার দূরে। আর পেডং থেকে কোলাখাম প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। এনজেপি থেকে খোলাখামের দূরত্ব প্রায় ১০৫ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে টানা গাড়িতে চলে যেতে পারেন কোলাখাম। যাওয়ার পথে যা দেখবেন সেটাও সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে।
নেওরাভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের এলাকায় কোলাখাম। এই রাস্তা দিয়েই অনেকে ট্রেকিং করেন। তবে ইদানিং কোলাখাম কিছুটা অন্যরকম হয়ে গেছে। হোটেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আগের সেই অসীম নির্জনতা কিছুটা কমে গেছে। তবে নির্জনতা পেতে গেলে আপনাকে আরও একটু এগিয়ে যেতে হবে। একটু বেছে হোমস্টে নিতে পারলে আখেরে আপনাদের ভালোই লাগবে। সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ খুব ভালো। হোমস্টে ভাড়া নেওয়ার সময় এটা জেনে নেবেন।
সকাল বেলা হোমস্টের জানালা খুলে দাঁড়ান বা বারান্দায় এসে দাঁড়ান। ভাগ্য ভালো থাকলে সামনে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। যে রূপ দেখবেন তা সারা জীবন মনে থাকবে।। যে কাঞ্চনজঙ্ঘা রূপ আপনি ছবিতে দেখেছেন এই ছবির মতন কাঞ্চনজঙ্ঘা এখান থেকে দেখতে পাবেন।
কাছেই ছাঙ্গে জলপ্রপাত। তবে জলপ্রপাতের কাছে যেতে আপনাকে প্রায় ৯০০ মিটার নীচে নামতে হবে। যাওয়ার পথে পাহাড়ের পাশের দোকানে ওয়াকিং স্টিক ভাড়া পাওয়া যায়, সেটা নিতে ভুলবেন না। তবে যাদের হাঁটুতে সমস্যা আছে তারা দুবার ভাববেন। কারণ অনেকটা নিচে নামতে হবে আবার ওপরে উঠতে হবে।