কথা দিয়েছিলেন। কথা রাখলেন। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার মানুষজনকে রাজ্য সরকারের বার্ধক্য ভাতার বন্দোবস্ত করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে তো বটেই উলটে ভাতার আবেদনকারীর সংখ্যা এবার লক্ষ ভেদ করতে পারে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। এখন এখানে একাধিক স্থানে ক্যাম্প করে বার্ধক্য ভাতার আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা শুরু করেন। আবার কয়েকটি জায়গায় বাড়ির দুয়ারে গিয়েও আবেদনপত্র সংগ্রহ করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিকে এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি বাসিন্দারা। এমন উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে তা অনেকে ভাবতেই পারেননি। ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, শিবির করে আবেদন গ্রহণ শুরুর প্রথম একসপ্তাহেই ৫০ হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা পড়ে। বেশ কিছুদিন আগে ফলতায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বার্ধক্য ভাতার গৃহীত আবেদনপত্র রাজ্য সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। তবে এখানেই শেষ নয়, একশো দিনের টাকা আদায়ের জন্য নয়াদিল্লিতে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় ১০০ জন জবকার্ড হোল্ডার। এবার তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে নয়াদিল্লিতে যাওয়া জবকার্ড হোল্ডারদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়াও শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই যাতে আবেদনকারীরা ভাতা পেতে পারেন তার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং উদ্যোগী হবেন বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা জানাচ্ছেন। আর লক্ষাধিক মানুষ যদি এই ভাতা পান তাহলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে বড় প্রভাব পড়বে। নিজের লোকসভা কেন্দ্র নয় সেখানেও একশো দিনের কাজের টাকা বাবদ সাহায্য শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর–১, গোপীবল্লভপুর–২, সাঁকরাইল এবং নয়াগ্রাম ব্লকের প্রায় ৩০ জন জবকার্ড হোল্ডারের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের সঙ্গে নেই। তাই মানুষের টাকা আটকে রেখেছে। আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।’
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ দেবাংশুর, নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিটের বাজি
এই গোটা বিষয়টি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। বহু প্রকল্পের টাকা ছাড়তে কিছু দেরি হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগী হয়ে সেসব করেছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বার্ধক্য ভাতা, একশো দিনের টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে। মানুষের সমস্যা সমাধানে তৃণমূল কংগ্রেস কাজ করে এবং করছে।’