ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে TMCর গোষ্ঠীকোন্দল, সংঘর্ষে প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের, আহত ২৫

বৃহস্পতিবার সকালে চায়ের দোকানে শুকদেবের ওপর রড লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। গুরু আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালের বিলাপ করছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। 

ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। ঘটনা মুর্শিদাবাদের সালার থানার পূর্ব গ্রামের। নিহত শুকচাঁদ শেখ সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের দাবি, ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে।

গ্রামের ক্রিকেট খেলা কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বসচা থেকে সংঘর্ষ। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনা সালার থানার পূর্ব গ্রামের। দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে শুকচাঁদ শেখ নামে এক প্রৌঢ়র। জখম হয়েছেন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। তাদের সালার গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই গ্রামে একটি ক্রিকেট খেলা চলছিল। তাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি সোটা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। ইট ছোড়াছড়ি হয় দুই পক্ষের মধ্যে। ঘটনাস্থলে ব়্যাফ নামাতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে চায়ের দোকানে শুকদেবের ওপর রড লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। গুরু আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

স্থানীয় বিধায়ক হুময়ুঁ কবির বলেন, ‘বৃহস্পতিবার স্থানীয় বুথ সভাপতির সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন শুকদেব। সেই সময় ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের কিছু অনুগামী তাঁর ওপর হামলা চালায়। লাঠি, শাবল দিয়ে শুকদেবকে মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।’

অভিযোগ অস্বীকার করে মোস্তাফিজুর বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় ইভ টিজিংকে কেন্দ্র করে তালিবপুর গ্রামে ২ দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। বৃহস্পতিবার সকালে ফের সংঘর্ষ শুরু হলে তার মধ্যে পড়ে শুকদেবের মৃত্যু হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।

ঘটনার পর এলাকায় ফের তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তাতে মোট ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারা সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত তা জানতে এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাউকে ছাড়া হবে না। ওদিকে লাগাতার সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।