বেতন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে ধর্মঘট করলেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। বুধবার গোটা রাজ্যে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সিটু। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন অসংখ্য চালক ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করেন। এদিনের ধর্মঘটে জেরে বিভিন্ন জেলায় ভালো প্রভাব পড়েছিল। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভালো প্রভাব পড়ে। এর ফলে ১০২ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন প্রসূতি এবং সদ্যোজাতরা।
আরও পড়ুন: রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে নিজের ও রোগীর জন্য মদের পেগ তৈরি চালকের: Video
সাধারণত এই প্রকল্পে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার ফলে বিনামূল্যে প্রসূতি এবং সদ্যোজাত শিশুদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যে এই প্রকল্পের অধীনে ৯০০ থেকে ১০০০টি অ্যাম্বুলেন্স চলে। এদিন সংস্থার নিউটাউনের অফিসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা সকাল থেকেই সমস্ত জেলায় ধর্মঘট করেন। বুধবার দুপুরে মিছিল করে তারা উপস্থিত হন এই সংস্থার নিউটাউনের অফিসের সামনে। এই আন্দোলনের ফলে বুধবার সকাল থেকেই জেলায় ১০২ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার একটা বড় অংশই বন্ধ ছিল।
কী দাবিতে ধর্মঘট?
মূলত তাদের দাবি, চালক এবং তার সহযোগীদের বেতন বাড়াতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার বেশি ডিউটি করানো যাবে না। সেক্ষেত্রে ওভার ডিউটি করালে অতিরিক্ত সময়ের বেতন দিতে হবে। তাদের অভিযোগ বিভিন্ন অনৈতিক কারণে ২৬ জন অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং তাদের সহযোগীদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে অভিলম্বে চাকরিতে বহাল করতে হবে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দরুন অ্যাম্বুলেন্স চালকদের ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর সম্ভাবনাও বাড়ছে। সেইক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে বেসরকারি সংস্থা জি.ভি.কে গ্রিন হেলথ সার্ভিসেস অ্যাম্বুলেন্স চালকদের নিযুক্ত করছে। এর জন্য চালকদের কাছ থেকে তারা প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ১৫০০০ টাকা করে নিচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও চালকদের কোনও রকমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চালকরা। মূলত এই সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়েই এদিন ধর্মঘট করেন ১০২ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত চালকরা।