খড়গপুরের গোলবাজারের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ড্রোন উড়িয়ে চার ঘণ্টার মধ্যেই ৫ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় শনিবার আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন সকালে ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানার পুলিশ জামুয়াআখনা গ্রামের একটি ধান খেত থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম নাম অমরজিৎ সিং। ওই দুষ্কৃতীও বিহারের বৈশালী জেলার বাসিন্দা। এর ফলে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বের হল ৬ জন। দুষ্কৃতীরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: খড়গপুরের সোনার দোকানে শুটআউট, ডাকাতি করতে এসে মালিকের বুকে গুলি
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, মালিক বাধা দেওয়ায় তারা তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালিক আশিসকুমার দত্তকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ডাকাতদের খোঁজে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায়। ওই ডাকাত দল খড়গপুর থেকে কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লোধাশুলির দিকে যাচ্ছিল। পালটা খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশও তাদের পিছু ধাওয়া করে।
তার পর ডাকাতদল ওড়িষার দিকে রওনা দিতে শুরু করলেই সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। এরপরেই ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানার রান্টুয়া এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেয়। সেখানেএকটি সাদা রঙের গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। কিন্তু, পুলিশ দেখার পরেই দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়। তখন পুলিশও তাদের পিছু ধাওয়া করে। ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনায় তল্লাশি অভিযানে নামে। শেষে ড্রোন উড়িয়ে তাদের সন্ধান পায় পুলিশ। এরপরই ধান জমি থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এরপর ধৃতদের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। গতকাল যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম গৌরব সিং, প্রকাশ কুমার, সুজিত কুমার, নবীন কুমার এবং রোশন কুমার। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, খড়গপুর শহরের রেলের পরিত্যক্ত কোয়াটারে বসেই তারা ডাকাতির ছক কষেছিল। ধৃতদের কাছ থেকে তিনটে আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি এবং একটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার দুদিন আগেই তারা খড়গপুরের ওই রেল কোয়ার্টারে আশ্রয় নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।